Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
জখম আরও ১৫ জন

দোকানে বাজ পড়ে মৃত তিন

দুপুরে আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে শিলও পড়তে থাকে। বৃষ্টি বাড়লে পুজো দিতে আসা লোকজন পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই সেই দোকানে বাজ পড়লে ঘরের মধ্যেই অনেকে সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

চিকিৎসা: পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসা: পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আড়শা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ০২:৫১
Share: Save:

কালবৈশাখীর ঝড় উঠতেই পুজো দিতে আসা লোকজন একটি দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই দোকানেই বাজ পড়ে মৃত্যু হল তিন জনের। আহত হলেন ১৫ জন। শুক্রবার বিকেলে আড়শা থানার কেন্দুয়াডি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন ঝালদার রাইডি গ্রামের মহেশ্বর মাহাতো (৪৪), আড়শা থানার হেঁটগুগুই গ্রামের উজ্জ্বল ঘাসি (১৮) ও কোটশিলা থানার চিরুহাতু গ্রামের প্রবীণ কুমার (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আড়শা থানার কেন্দুয়াডি গ্রামে একটি পুজো ছিল। ওই ধর্মস্থানে আড়শা-সহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ মানতের পুজো দিতে এসেছিলেন। দুপুরে আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে শিলও পড়তে থাকে। বৃষ্টি বাড়লে পুজো দিতে আসা লোকজন পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই সেই দোকানে বাজ পড়লে ঘরের মধ্যেই অনেকে সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

তাঁদের উদ্ধার করে বাসিন্দারা শিরকাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, ওই গ্রাম থেকে মোট ১৮ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতদের মধ্যে ১২ জন গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁদের পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা শিরকাবাদে ভর্তি রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শিরকাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আড়শার ঠাকুরসীমা গ্রামের বাসিন্দা মানিকচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘‘পুজো দিতে এসেছিলাম। দুপুরের পর আকাশ কালো করে ঝড়বৃষ্টি শুরু হল। তখন ধর্মস্থানের পাশে একটি অ্যাসবেস্টসের চালার দোকানে অনেকেই আশ্রয় নিই। আচমকা কানে তালা ধরে যাওয়া শব্দ হয়। তারপরে আর কিছুই মনে নেই।’’ ওই দোকানে ছিলেন কেন্দুয়াডি গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ মাহাতোও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচণ্ড আলোর ঝলকানির সঙ্গে তীব্র শব্দ কানে আসার পরে কী যে হয়ে গেল আর জানি না।’’

কোটশিলার চিরুহাতু গ্রামের বাসিন্দা মৃত প্রবীণ কুমারের ভাই ধনঞ্জয় কুমার বলেন, ‘‘মোটরবাইক নিয়ে দাদা ও তাঁর এক পরিচিতের সঙ্গে ওই গ্রামে পুজো দিতে গিয়েছিল। কিন্তু সে যে আর ফিরবে না, ভাবতে পারিনি।’’ বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে এ দিন ঝালদায় পুরনো থানার সামনে একটি গাছ পড়ে যায়। ফলে পুরুলিয়া-রাঁচি রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ দিন পুরুলিয়া শহর, কাশীপুর, আদ্রা-সহ জেলার অনেক জায়গায় বৃষ্টির হওয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমে যায়। বাঁকুড়া জেলাতেও এ দিন ঝড়-বৃষ্টি বিক্ষিপ্ত ভাবে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lightning Death Injured
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE