মহাযজ্ঞ: কঙ্কালিতলায় যজ্ঞ করাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
কয়েকদিন আগেই হনুমানজয়ন্তী পালন করেছেন। এ বার রীতিমতো মহাযজ্ঞ!
হাজির কামাক্ষা কামরূপের ১১ পুরোহিত। ৫১ কেজি কাঠ। এবং দিনভর কয়েক হাজার মানুষ পাত পেড়ে খাওয়া।
যজ্ঞের উদ্যোক্তা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার কঙ্কালিতলায় যজ্ঞ স্থলে সপরিবারে এবং সপার্ষদ হাজির থাকলেন তিনি। অনুব্রত বলেন, “আমি হিন্দু। পূজা, যজ্ঞ করে থাকি।” অনুব্রত এমন দাবি করলেও ওয়াকিবহল মহলের দাবি, বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল, জনসভার মতো কর্মসূচিতে দলীয় হিসেবের বাইরে বহু লোকজনের জমায়েত হচ্ছে। তাই হনুমান জয়ন্তী, মহাযজ্ঞ মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একাংশের মন পেতে চাইছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বোলপুরের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির একটি জরুরী বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে দলের নানা বিষয়ের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের সভা, সমাবেশ ও মিছিলে লোকজনের ভিড় নিয়ে কোনও কোনও নেতা সংশয় প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক জনকল্যাণমুখী কর্মসূচীর সফল রুপায়নের ওপর আরও জোর দেওয়া সহ সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার ওপর জোর দেওয়া হয়। একাংশের মন পেতে উৎসব, অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানেও আরও বেশি করে শরিকি হওয়া এবং সময় দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে, ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালিতলায় মহাযজ্ঞের কথা ঘোষণা করেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন:কালবৈশাখীর ফাঁকিতে নাকাল
ঘোষণা মতো এ দিন, মহাযজ্ঞ উপলক্ষে কামরূপ, কামাক্ষা থেকে ১১ জন পণ্ডিতও এসেছিলেন।
জেলার বিধায়ক তথা দুই মন্ত্রী, অন্যান্য বিধায়ক, জেলা কমিটির নেতানেত্রীদের সঙ্গে যজ্ঞস্থলে সপরিবারে হাজির হন অনুব্রত। যথা নিয়মে পূজা পাঠ, মন্ত্রোচ্চারণ এবং পূর্ণাহুতি করেন পণ্ডিতরা। পারিবারিক অশৌচের কারণে সেই অর্থে মহাযজ্ঞে যোগ না দিলেও, সশরীরে হাজির ছিলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে হাজার চারেক মানুষের জন্য প্রসাদের আয়োজন থাকে। কঙ্কালিতলা, মায়ের স্থান। সকলের জন্য আয়োজন হয়েছে। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গল কামনা, তৃনমূলের শ্রীবৃদ্ধি এবং আমজনতার উদ্দেশ্যে মহাযজ্ঞের আয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy