Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফি মাসে তিনটি বৈঠক করতে বললেন অনুব্রত

পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেজাল্ট ‘আরও’ ভাল করতে, এ বার বিধায়কদের অঞ্চলে অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন অনুব্রত। রবিবার দুপুরে, দলের জেলা যুব ও জেলা কমিটির বৈঠকে এমন নির্দেশ দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

এলেন: হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল । ছবি: নিজস্ব চিত্র

এলেন: হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল । ছবি: নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০২:১২
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেজাল্ট ‘আরও’ ভাল করতে, এ বার বিধায়কদের অঞ্চলে অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন অনুব্রত। রবিবার দুপুরে, দলের জেলা যুব ও জেলা কমিটির বৈঠকে এমন নির্দেশ দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

২১ জুলাই নিয়ে তৃণমূলের প্রস্তুতির পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বোলপুরে রবিবারের বৈঠক ছিল যুব সংগঠনের। কিন্তু সাংগঠনিক সমন্বয় আরও বাড়ানোর পাশাপাশি জোরদার করতে ব্লক নেতৃত্ব এবং জেলা কমিটিকেও অনুব্রত হাজির করেন বৈঠকে।

বোলপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে, রাজ্যের দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রনাথ সিংহের উপস্থিতিতে সংগঠনের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, জেলার একাধিক বিধায়ক এবং বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের শেখ শাহনওয়াজও হাজির ছিলেন সেখানে। বৈঠকে অঞ্চলে অঞ্চলে মিটিং বাড়ানোর কথা বলেন।

কম করে মাসে তিনটি বৈঠক করা এবং তার সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে, দলের জেলা যুব সংগঠনকে আরও গ্রামে গ্রামে যেতে বলেন। স্রেফ তাই নয়, দলের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি এ বার বিধায়কদের অঞ্চলে অঞ্চলে যেতে নির্দেশ দেন।

এ দিন দলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরাকে নির্দেশ দেন অনুব্রত। দলের স্রেফ যুব সংগঠনই নয়, ‘মাদার’ সংগঠনের কোনও কোনও অঞ্চলে আরও গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

এ দিনের ওই বৈঠকে দলের দীর্ঘ দিনের কর্মী মিহির রায়কে কংকালিতলা ও সর্পলেহণা- আলবাঁধা পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে।

সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা এবং নিজের এলাকায় জনসংযোগ বাড়ানোর কথা বলয়ে গিয়ে শেখ শাহনওয়াজ গ্রামে গ্রামে ঘোরার কথা বলেন। তাঁর কথার সুত্র ধরে, শুধু যুব, মাদার সংগঠন বা জেলা নেতৃত্ব ই নয়। গ্রামে গ্রামে ও অঞ্চলে অঞ্চলে এইবার বিধায়কদের যাওয়ার নির্দেশ দেন অনুব্রত। মাসে চারটি না হলেও, কম করে তিনটি বৈঠক করার নির্দেশ দেন।

এদিনের ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন প্রকল্পের সার্থক রূপায়ন করা, সময়োচিত পরিকল্পনা করা নিয়ে, জেলা সভাপতির প্রশংসা করে মন্ত্রী আশিসবাবু। মাদার সংগঠনের পরামর্শ মেনে সাংগঠনিক শক্তি আর বৃদ্ধির কথা বলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। জেলার কর্মীরা নানা প্রশ্ন করেন। সে সবেরও উত্তর দেন নেতৃত্ব।

অনুব্রত বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেজাল্ট আরও ভাল করতে সকল বিধায়ক অঞ্চলে অঞ্চলে যান। লোকজনের সঙ্গে নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলুন, বৈঠক করুন।’’

যুব কমিটির বৈঠক হলেও ব্লক নেতৃত্ব, জেলা কমিটি নেতৃত্ব হাজির ছিল বৈঠকে। দুপুর বারোটা থেকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে। পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে যদিও অনুব্রত বলেন, ‘‘বিরোধী বলে কেউ নেই। ময়দান ফাঁকা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে গিয়ে, সিপিএম শেষ হয়ে গেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Anubrata Mondal TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE