Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘ভয় পেয়েছে বলেই মার’, দাবি বিজেপির

এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ লকেট যখন প্রচার সেরে ফিরছিলেন, তখন শতাধিক মহিলা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে। লকেটের কথায়, ‘‘ওই মহিলারা গাড়ির দরজা খুলে আমাকে নামানোর চেষ্টা করেছিল।

অর্ঘ্য ঘোষ
সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০২:১২
Share: Save:

দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে এ বার সাঁইথিয়ার তিলপাড়া গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্যনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। গাড়ির দরজা খুলে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। লকেটের দাবি, পরিকল্পনা করেই তৃণমূল ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ মানেননি।

এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ লকেট যখন প্রচার সেরে ফিরছিলেন, তখন শতাধিক মহিলা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে। লকেটের কথায়, ‘‘ওই মহিলারা গাড়ির দরজা খুলে আমাকে নামানোর চেষ্টা করেছিল। জিজ্ঞাসা করে আমাদের রোজভ্যালির টাকা কোথায় গেল বলুন। আমি বলি, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়দের জিজ্ঞেস করুন। ওঁরাই ভাল বলতে পারবে।’’

শুধু তিলপাড়া নয়। বিস্তারক অভিযানের প্রথম দিন থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির নেতাকর্মীরা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। কয়েক দিন আগে লাভপুরের বুনিয়া গ্রামে আক্রান্ত হন ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিস্তারক তথা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ আচার্য। তারপর ধারাবাহিক ভাবে লাভপুরেরই আবাদ, ইন্দাস গ্রামেও বিস্তারকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একই ঘটনা ঘটে ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণগ্রাম, তেঁতুলডিহি, কেশেডাঙা গ্রামেও।

মারধরের ঘটনা পুলিশকে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত রবিবার ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে পথ অবরোধ করেছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। পর দিনই ময়ূরেশ্বর পৌঁছন লকেট। কেন অভিযুক্তদের ধরা হচ্ছে না, জবাবদিহি চাইতে যান ময়ূরেশ্বর থানাতেও। ওসি’কে না পেয়ে মেজাজ হারিয়ে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিস্তারকদের চাঙ্গা করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছেন লকেটও। এ কাজে বেরিয়েও আক্রান্ত হন তিনি। গত মঙ্গলবার মুরারই থানার গোপালপুরে পুলিশের সামনেই গাড়ি ভাঙচুর এবং লকেটকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।

এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের বনগ্রাম অঞ্চল কমিটির সভাপতি তুষার মণ্ডলের দাবি, ‘‘ওই এলাকার অনেকে রোজভ্যালিতে টাকা রেখে আর পাননি। যেহেতু লকেটও রোজভ্যালির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, গ্রামের মহিলারা তাঁর কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন।’’

কিন্তু, বারবার বিজেপিকে বাধা কেন? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্তারকদের মাধ্যমে বিজেপির বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি তৃণমূলের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের দাপটের মধ্যেও ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের সাতটির মধ্যে দুটি পঞ্চায়েত দখলে রেখেছে বিজেপি। এলাকায় নিজস্ব ভোটও রয়েছে। সে কারণেই বারবার বাধা আসছে।

বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘আসলে তৃণমূল নেতাদেরও নিজের প্রতি কিংবা সংগঠনের আস্থা নেই। তাই ওরা এ ভাবে হিংসার রাজনীতি বেছে নিচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE