Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বধূকে বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ

রবিবার রাতের ওই ঘটনার পরের দিন সোমবার সন্ধ্যায় এক আত্মীয়াকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, গ্রামেরই ছ’জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ১২:৪৯
Share: Save:

স্বামী কর্মসূত্রে অন্য জেলায় থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন স্ত্রী। রাতের অন্ধকারে বছর তিরিশের ওই বধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল রঘুনাথপুর থানা এলাকায়।

রবিবার রাতের ওই ঘটনার পরের দিন সোমবার সন্ধ্যায় এক আত্মীয়াকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, গ্রামেরই ছ’জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। সোমবার রাতেই রঘুনাথপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিন অভিযুক্তকে। বাকিরা পলাতক বলে দাবি পুলিশের। ধৃতেরা হল শ্রীমন্ত হাঁসদা, বিজয় মুর্মু, কাজল টুডু। মঙ্গলবার ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। নির্যাতিতা বধূটির ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

রঘুনাথপুরের এসডিপিও অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর থানার ওই গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।” তবে এ দিন আদালতে ধৃতেরা দাবি করেছে, তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূর স্বামী ইটভাটায় কাজ করেন। কাজের সূত্রে তিনি বাইরেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে একাই থাকেন ওই বধূ। ওই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাড়ির অদূরে থাকেন। রবিবার রাতে গরমের জন্য তিনি বাড়ির মধ্যে না শুয়ে উঠোনে খাটিয়া পেতে শুয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘হঠাৎ গ্রামের চার যুবক মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায় গ্রামেরই প্রান্তে মাঠের ঝোপে। সেখানে পরে আরও দু’জন আসে। তারা কাপড় দিয়ে হাত, পা বেঁধে ধর্ষণ করে। অত্যাচারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’’ পরে জ্ঞান ফিরতে তিনি কোনও রকমে বাড়ি ফিরে আসেন।

সোমবার বেলায় তিনি এক আত্মীয়াকে ঘটনাটি জানান। অভিযোগকারিণীর দাবি, অভিযুক্তদের পরিবার থানায় অভিযোগ না জানানোর জন্য চাপ তৈরি করতে শুরু করে। একদিকে চাপ, অন্যদিকে লোকজলজ্জার ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে কিছুটা গড়িমসি করেন তিনি। কিন্তু দুপুরে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত রঘুনাথপুর থানায় গিয়ে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।

ওই বধূর এক আত্মীয় এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘বৌমার স্বামীকে ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ছ’জনের পরিবার থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য এত চাপ আসছে যে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’ তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই বধূটি বা তাঁর পরিবারের উপরে যাতে কেউ চাপ তৈরি করতে না পারে, তা গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE