রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে দশ টাকার কয়েন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবু এ নিয়ে বিভ্রান্তি কিছুতেই কাটছে না পুরুলিয়া শহরে। প্রতিদিন যাঁরা এই শহরে কেনাকাটি কিংবা ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, টোটো চালকেরা বা বিভিন্ন চায়ের দোকান ১০ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করছে।
গত নভেম্বরে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় পুরনো পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিল হল, সেই সময় দশ টাকার কয়েন নিয়ে ঠিক একই সমস্যা হয়েছিল শহরে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বিভ্রান্তি দূর করতে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক যৌথ ভাবে শহরে প্রচারে চালিয়ে ১০ টাকার কয়েন লেনদেন করতে বলে। প্রচারে জানানো হয়, কেউ কোনও ভাবে দশ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করতে পারবেন না। তাহলে অন্যায় করা হবে।
তারপরে বেশ কিছুদিন অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও ফের এই কয়েন নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মাইতির অভিজ্ঞতা, ‘‘আমি ট্রেনে পুরুলিয়া স্টেশনে নেমে একটি টোটোয় উঠি। কিন্তু ভাড়া দিতে গিয়ে ১০ টাকার কয়েন বের করলে ওই চালক কিছুতেই তা নিলেন না। আমার সামনে এক যাত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে এক টোটো চালকের প্রচণ্ড ঝগড়া হল।’’
আদ্রার বাসিন্দা বিদ্যাধর মাহাতো বলেন, ‘‘আমিও একই অভিজ্ঞতার শিকার। রেলের কাউন্টারে দশ টাকার কয়েন স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। কিন্তু পুরুলিয়া শহরে টোটো চালকেরা দেখলাম নিতে অস্বীকার করছেন। এক টোটো চালক তো দেখলাম যাত্রীর ১০ টাকার কয়েন নেবেন না বলে জেদ করে ওই কয়েনটা ছুড়ে ফেলে দিলেন। কয়েকটি চায়ের দোকানও একই ভাবে এই কয়েন নিতে অস্বীকার করছে বলেও অভিযোগ।’’
পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সন্দীপ টুডু বলেন, ‘‘১০ টাকার কয়েন নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও কারণ নেই। দশ টাকার কয়েন যথারীতি চালু রয়েছে। কেউ এই কয়েন নিতে অস্বীকার করতে পারেন না। তবে এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখা হবে।’’ বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন কড়া হলেই কাজ দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy