বিধানসভা ভোটের পরেই তিনি তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন। রামপুরহাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা শহর কংগ্রেসের সভাপতি সুদেব দাস এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
পুরনির্বাচনে সুদেববাবু তৃণমূলের শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন। রবিবার শাসকদলে নাম লিখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম।’’ সম্প্রতি সুদেববাবুর বিরুদ্ধে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূলই। সেই অভিযোগ থেকে বাঁচতেই কি এই আত্মসমর্পণ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সুদেববাবু দাবি করেন, ‘‘এ সব সংবাদমাধ্যমের মনগড়া কথা।’
এ দিন তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহমান, রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান-সহ অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এমন এক জনকে কেন দলে নিলেন, সেই প্রশ্নের অবশ্য কেউ-ই সদুত্তর দিতে পারেননি। আশিস কেবল বলেন, ‘‘হারাধনের দশটি ছেলের মধ্যে আর দু’টি ছেলে রইল।’’ আর তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য দাবি করেন, সুদেববাবুর সঙ্গে নাকি কংগ্রেসের প্রায় হাজার কর্মীও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে সুদেববাবুর অবশ্য আত্মপোলব্ধি, ‘‘বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূল নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ অন্য দিকে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির কটাক্ষ, ‘‘একই কুমির ছানাকে তৃণমূলের বন্ধুরা আর কত বার করে দেখাবেন? উনি তো অনেক দিন আগেই তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করছেন।’’
এ দিন ওই দলবদলের অনুষ্ঠানের আগে তৃণমূল প্রভাবিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন অনুব্রত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy