Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

৮ আসনে রফা করে তালিকা দিল কংগ্রেসও

এ দিন বামেদের সঙ্গে জোটের কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি জিম্মি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে শাসকদলকে হারাতে এবং বিজেপিকে রুখতে পুরসভার অন্য ওয়ার্ডে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রার্থীদের সমর্থন করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের বলা হবে।’’

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নলহাটি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০১:৪৫
Share: Save:

তৃণমূল আগেই করেছে। সমঝোতার বার্তা দিয়ে ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে আটটিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামেরাও। সোমবার বাকি আটটি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা থেকে স্পষ্ট এ বারে নলহাটির পুরভোটে আসন সমঝোতা করছে দু’দল।

এক নজরে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা— ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রমোদ মস্করা (টুনিয়া), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ প্রসাদ (বাবু)। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী মইদুল। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দনা ক্ষীরহরি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে রেখা খাতুন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আয়েষা সিদ্দিকা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে হোসেন আলি।

২০০২ সালে পুরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে কংগ্রেসের দখলে ছিল নলহাটি পুরসভা। সেই সময় পুরসভার ১৬টি আসনের মধ্যে নিজেদের দখলে ছিল ১১টি আসন। বিরোধীরা পেয়েছিল পাঁচটি আসন। প্রথম পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের আয়নাল হোদা আহমেদ ও উপপুরপ্রধান হোন প্রকাশ প্রসাদ (বাবু)। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও একই ফল হয়েছিল। সেই সময় পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের বিপ্লব ওঝা এবং উপপুরপ্রধান হন অশোক ঘোষ। কংগ্রেসে ভাঙন ধরতে শুরু করে ২০০৯ সালে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে পুরপ্রধান বিপ্লব ওঝা অনুগামী ৮ সদস্যকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে বিরোধে তৃণমূলে যোগ দেন। তবুও ২০১১ সালে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোটের কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো নলহাটি বিধানসভা বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।

পরে ২০১২ সালে পুরসভার তৃতীয় নির্বাচনে ১৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল একাই আটটি আসন দখল করে একক ভাবে বোর্ড গঠন করে। কংগ্রেসকে তিনটি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এর পরে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য ২০১৩ সালে নলহাটি বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। তখন বামফ্রন্টের দীপক চট্টোপাধ্যায় জয়ী হলেও কংগ্রেস সাকুল্যে তৃণমূলের চেয়ে ৫০০ ভোটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল।

কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ও বাম জোটের প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন শামস। বছর পেরোতেই আবারও কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে আসন সমঝোতা হল। এ দিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, ‘‘প্রার্থী তালিকায় প্রাক্তন উপপুরপ্রধান (প্রকাশ প্রসাদ) যেমন আছেন, তেমনই আছেন দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর বন্দনা ক্ষীরহরি। আছেন একবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর আয়েষা সিদ্দিকা এবং দুর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন নতুন মুখকে এ বার প্রার্থী করা হয়েছে।’’

এ দিন বামেদের সঙ্গে জোটের কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি জিম্মি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে শাসকদলকে হারাতে এবং বিজেপিকে রুখতে পুরসভার অন্য ওয়ার্ডে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রার্থীদের সমর্থন করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের বলা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE