হাসিমুখে: প্রদর্শনীতে ক্রেগ হল। নিজস্ব চিত্র
সেটা ১৯১৬। নোবেল প্রাপ্তির পরে ততদিনে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের দরবারে চর্চিত একটি নাম। আমেরিকা গেলেন দ্বিতীয়বারের জন্য। প্রায় পঁচিশটি শহরে বক্তৃতা করলেন। প্রতি বক্তৃতা তিনি যে অর্থ পেতেন, জমিয়ে রাখতেন বিশ্বভারতীর জন্য। সেই সব প্রবাসের দিনকাল-সহ তাঁর পাঁচবারের আমেরিকা সফর নিয়ে কবির আমেরিকা সফরের শতবর্ষে বিশ্বভারতী একটি প্রদর্শনী খুলে দিল শনিবার। শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কলকাতা স্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল।
কবির পাঁচ বার আমেরিকা সফরের নানা মুহূর্তের ছবি, কথা এবং বিশিষ্টদের সঙ্গে চিঠিপত্র আদানপ্রদানের প্রায় ৭০টি ছবি ও চিঠিপত্র, সংবাদপত্রের কাটিং ৯টি প্যানেলে স্থান পেয়েছে। সেপ্টেম্বর ১৯১২ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত তাঁর সফর নিয়ে নানা নথি, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি রুজভল্টকে লেখা তাঁর চিঠি, হেলেন কেলারের চিঠি, আমেরিকায় সস্ত্রীক রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বহু ছবি ও চিঠি স্থান পেয়েছে ওই বিশেষ প্রদর্শনীতে। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের উদ্যোগে এমন প্রদর্শনীর আয়োজন এই প্রথম। বিদেশে বিশিষ্টদের সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ ও তৎকালীন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং তাঁদের সঙ্গে চিঠিপত্র আদানপ্রদানের মতো একাধিক বিষয় স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
আমেরিকা সফরের একশো বছর পরেও, রবীন্দ্রনাথ কী ভাবে প্রাসঙ্গিক তা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রদর্শনীর উদ্বোধক ক্রেগ। কৃষিবিদ্যা পড়ার জন্য রথীন্দ্রনাথকে অন্যত্র না পাঠিয়ে কী ভাবে আমেরিকা পাঠিয়েছিলেন—তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। এ দিনের প্রদর্শনী ঘিরে দুই দেশের সম্পর্কের কথাও উঠে আসে। রবীন্দ্রনাথকে সেতু করে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক যাতে আরও সুদৃঢ় হয় সে আলোচনাও হয়। দুই দেশের মধ্যে রবীন্দ্র-গবেষণার পথ যাতে প্রশস্ত হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলে খুব শীঘ্র আবেদন জানাবে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের অধিকর্তা তপতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথ এবং আমেরিকা নিয়ে আরও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে খুব দ্রুতই আমরা সংশ্লিষ্ট সব স্তরে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি।”
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “গবেষণার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy