হাতে মাত্র চারটে দিন। প্রতিটি বুথ কী ছুঁয়ে যেতে পারছেন বিস্তারকেরা। কেমন এগোচ্ছে কাজ, তা খতিয়ে দেখতে রবিবার বীরভূমে ঘুরে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে ‘বিস্তারক’ পাঠিয়ে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে নেমেছে বিজেপি। ৭ জুন থেকে ২২জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। অভিযোগ, শাসকদলের তরফে নানা বাধা এলেও কর্মসূচিকে সফল করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখাতে চায় না দল। সূত্রের খবর, নানা প্রান্তে শাসকদলের বাধায় যতটা দ্রুত কাজ এগোনোর কথা ছিল ততটা দ্রুত কাজ এগোয়নি। এমনটাও হয়েছে বিস্তারক পৌঁছেছেন অথচ বাধায় এলাকায় ঢুকতে পারেননি।
জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ২৯৬৩টি। রবিবার পর্যন্ত ১২০০ বুথে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। শাসকদলের বাধা ডিঙিয়ে কী ভাবে যত বেশি সংখ্যক বুথ ছুঁয়ে যেতে পারেন তাঁরা দুবরাজপুর ধর্মশালায় বিস্তারকদের নিয়ে আলোচনায় প্রযোজনীয় পরামর্শ দিলেন দিলীপ। এবং অবশ্যই সেটা রূদ্ধদ্বার বৈঠকে। ঘটনা হল এ দিন সকালে বিস্তারক হয়েই দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আসেন দিলীপ। বালিজুড়ি গ্রামে একটি কর্মী সভা করেন। কথা বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে। সরকারি প্রকল্প ঠিক মতো তাঁরা পাচ্ছেন কিনা জানতে চান। মধ্যাহ্নভোজন করেন ওই পঞ্চায়েত এলাকার মঙ্গলপুরগ্রামে।
তার ফাঁকেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শাসকদলের ভূমিকার নিন্দা করেন। কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডলকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো এ জেলায় আমাদের বিস্তারকদের প্রচার চালাতে বাধা দেওযা হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে বিজেপি পৌঁছচ্ছে, মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন, বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। সেটা দেখে ভয় পেয়েছে শাসকদল। বীরভূমের কেষ্টবাবুর অত্যাচারে মানুষ না বিজেপির দিকে চলে যায়। ওঁরা অত্যাচার করছেন। লকেটের গাড়ি আটকানো হয়েছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে।’’
অনুব্রতর প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি। জেলা নেতারা বলছেন, ‘‘কিছু এলাকায় গিয়ে শুধু বাধা নয় শারিরীক ভাবে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে জেলায় বিস্তারকদের।’’ তৃণমূলের বাধা থাকলেও আগামী কয়েকদিন কেমন করে এগোতে হবে সেই পরামর্শই দিয়েছেন সভাপতি জানাচ্ছেন জেলার নেতারা। জেলা বিজেপির লক্ষ্য সবকটিতে না হলেও কমপক্ষে ২০০০ বুথে পৌঁছতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy