Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সেমেস্টারের খাতা বেপাত্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে

গত ৮ জুন স্নাতকোত্তর ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হয়। বিভাগীয় প্রধান জানান, পরীক্ষার শুরুর পরে তিনি অন্য একটি বৈঠকে চলে যান। তাঁর কথায়, ‘‘পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে সাধারণত আমার কাছে খাতা চলে আসে। কিন্তু সে দিনের পরীক্ষার পরে ৬০টি খাতা আসেনি।’’ তাঁর দাবি, খাতাগুলি কোথায় জানতে গার্ডদের জিজ্ঞেস করেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০১:০৭
Share: Save:

পরীক্ষার খাতা হারাল সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজির বিভাগীয় প্রধান অপরাজিতা হাজরা মঙ্গলবার ই-মেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা বেশ কিছু দিন আগে শেষ হলেও এখনও তাঁর কাছে কোনও খাতাই জমা পড়েনি। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ামক সুবলচন্দ্র দে বলেন, ‘‘ইংরেজির বিভাগীয় প্রধান আমার কাছে ৬০টি খাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিষয়টি তোলা হবে। বাকি সিদ্ধান্ত কাউন্সিল নেবে।’’

গত ৮ জুন স্নাতকোত্তর ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হয়। বিভাগীয় প্রধান জানান, পরীক্ষার শুরুর পরে তিনি অন্য একটি বৈঠকে চলে যান। তাঁর কথায়, ‘‘পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে সাধারণত আমার কাছে খাতা চলে আসে। কিন্তু সে দিনের পরীক্ষার পরে ৬০টি খাতা আসেনি।’’ তাঁর দাবি, খাতাগুলি কোথায় জানতে গার্ডদের জিজ্ঞেস করেন। একটি ঘরের গার্ড তাঁকে জানান, অন্য ঘরের গার্ড অপূর্বকুমার সাহার কাছে খাতা জমা দিয়েছেন। অপূর্ববাবু ইংরেজি বিভাগেরই অধ্যাপক। অপরাজিতাদেবীর কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম খাতাগুলি পেয়ে যাব। কিন্তু বেশ কিছু দিন চলে যাওয়ার পরেও খাতা না পেয়ে পরীক্ষা নিয়ামককে লিখিত ভাবে জানাই।’’

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ববাবু অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি সমস্ত খাতাই বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা করে দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘৮ তারিখ পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে বিভাগীয় প্রধান ১৫ তারিখ একটি বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে তো খাতা হারানোর কোনও উল্লেখই ছিল না। এ নিয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি। আমি যদি খাতা জমা না করতাম, তা হলে তো উনি বিষয়টি তুলতেন।’’ তিনি যোগ করছেন, ‘‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, পরীক্ষার পরে খাতা জমা করেছি। অন্য পরীক্ষার পরে যে ভাবে খাতা জমা করা হয়। এখন কেন অস্বীকার করছেন বুঝতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE