Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কামারডাঙালে ভাসল কজওয়ে

শুধু ওই গ্রামের বাসিন্দারই নন, বিপাকে পড়েছেন সিউড়ি এক ও দুই ব্লক মিলিয়ে অন্তত আট দশটি গ্রামের মানুষ। সকলের মিলিত দাবি, অবিলম্বে কজওয়ে ও পাড়ের মধ্যে মাটি ফেলে সংযোগকারী রাস্তা না করলে অসুবিধের শেষ নেই।

জলমগ্ন কঙ্কালীতলা মন্দির। নিজস্ব চিত্র

জলমগ্ন কঙ্কালীতলা মন্দির। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৯:৩০
Share: Save:

মাত্র মাস দু’য়েক আগেই শেষ হয়েছে কজওয়ে সম্প্রসারণের কাজ। নদীর একদিকের পাড়ের ভূমিক্ষয় আটকাতে দেওয়া হয়েছিল একটা গার্ডওয়াল। তবুও শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার গভীর রাতে নদীর জল ভাসিয়ে নিয়ে গেল অন্য পাড়ের একটা বড় অংশ। নদীর পাড় এবং কজওয়ের সঙ্গে অন্তত ৫০ ফুটের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কজওয়েটা আস্ত থাকলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সিউড়ি ১ ব্লকের কামারডাঙাল গ্রামের বাসিন্দারা।

শুধু ওই গ্রামের বাসিন্দারই নন, বিপাকে পড়েছেন সিউড়ি এক ও দুই ব্লক মিলিয়ে অন্তত আট দশটি গ্রামের মানুষ। সকলের মিলিত দাবি, অবিলম্বে কজওয়ে ও পাড়ের মধ্যে মাটি ফেলে সংযোগকারী রাস্তা না করলে অসুবিধের শেষ নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি ১ ভূরকুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারডাঙাল গ্রামে যেতে হলে পার হতে হয় বক্রেশ্বর নদ। কামারডাঙাল-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের ফি বর্ষায় দুর্ভোগ এড়াতে নদের উপরে ভাসাপুল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে।

২০১৫ সালের জুলাই মাসের ২২ তারিখ, প্রবল বৃষ্টির পরে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কজওয়ের শেষ থেকে কামারডাঙাল গ্রামের দিকে পাড়ের অংশ ছেড়ে গিয়েছিল একইভাবে। এ বার ছাড়ল অন্যদিক। সেতুটি সংস্কার ও ভূমিক্ষয় আটকাতে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ব্লক প্রশাসনের। তারা সে কাজ করে জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্লানের ২২ লক্ষ ৯৪ হাজার। সিউড়ি গ্রামের একটি নির্মাণকারী সমবায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মাত্র মাস দুই হল কাজ শেষ হয়েছে। এলাকাবাসী ভেবেছিলেন সমস্যা মিটল। কিন্তু সেটা ভূল ছিল। বৃহস্পতিবার রাতের প্রবল বৃষ্টিপাতের পরে থেকেই ফুঁসছিল নদী। কজওয়ে উপচে জল বইতে থাকায় ধান পুঁতে ঘর যাওয়ার সময় জলে প্রায় তলিয়ে য়াচ্ছিলেন এক মহিলা। স্থানীয়রা তাঁকে বাঁচান। জলের তোড়ে উল্টে যায় একটি বাইক। উপচে উঠেছিল বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারও। তারপর থেকে ৫ হাজার ৮০০ কিউসেক জল ছাড়তে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তারপরই বিপত্তি।

সিউড়ি ১ ব্লকের বিডিও মহম্মদ বদরুদ্দোজা বলছেন, ‘‘সত্যিই এলাকার মানুষ বিপদে পড়েছেন। তবে এখনও যথেষ্ট জল বইছে নদীতে। জল কমলেই তড়িঘড়ি হিউম পাইপ ও বালির বস্তা ফেলে যাতায়াতের ব্যবস্থা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Heavy rain flood Suri সিউড়ি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE