Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

রাতেই লম্বা লাইন,পুজো দিতে হাঁসফাঁস

রামপুরহাট স্টেশন চত্বর থেকে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে মনসুবা মোড়ে আসছেন লোকজন। পরে একমুখী ঢেউ আছড়ে পড়ছে মা তারার মন্দিরে। সমস্ত কিছু সুষ্ঠু ভাবে মেটাতে রয়েছে পাঁচশো পুলিশ এবং দুশো স্বেচ্ছাসেবক।

আরাধনা: তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

আরাধনা: তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৪০
Share: Save:

রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল ন’টা পর্যন্ত তারাপীঠে লোক এসেছে মেরেকেটে ৭৫ হাজার! এই হিসাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশের কর্তারাই। যেটা হওয়ার কথা ছিল লক্ষাধিক। সোমবার রাত ১২টা ১১ পর্যন্ত অমাবস্যা থাকবে। ফলে রাতের দিকে ভিড় বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। তারামাতা মন্দির সেবাইত সমিতি থেকে লজ মালিকদের আশাও তেমনই। সেটা ধরে নিয়েই পুলিশ, প্রশাসন থেকে মন্দির কমিটি নিরাপত্তা বলয় গত দু’দিনের মতো রাখছেন।

রামপুরহাট স্টেশন চত্বর থেকে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে মনসুবা মোড়ে আসছেন লোকজন। পরে একমুখী ঢেউ আছড়ে পড়ছে মা তারার মন্দিরে। সমস্ত কিছু সুষ্ঠু ভাবে মেটাতে রয়েছে পাঁচশো পুলিশ এবং দুশো স্বেচ্ছাসেবক। এর মধ্যেই আসছে বুকিং বাতিল হওয়ার খবর। তারাপীঠের একটি লজের ম্যানেজার জানালেন, রবিবার রাত তিনটে পর্যন্ত মোট কুড়িটি বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। এমনটা হয়েছে বহু লজ, হোটেলের সঙ্গেই। এক হোটেল মালিক যেমন জানালেন, তাঁদের পাঁচটি বুকিং বাতিল হয়েছে।

কেন বাতিল? লজ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্যেই এই অবস্থা। ফি বার বহু লোক উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আসেন। এক লজ মালিকের কথায়, ‌‘‘অন্য বার উত্তরবঙ্গে এতটা খারাপ অবস্থা হয় না।’’ এ বার দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাও জলমগ্ন হয়েছে। ভিটে মাটি থেকে চাষ, ক্ষতি হয়েছে ব্যবসারও। ফলে সোমবার পর্যন্ত কিছুটা হলেও লোক কম। রাতের বেলায় যা বাড়তে পারে বলে আশা। তবে, ভিড় রয়েছে মন্দিরে। সোমবার সকালে তারাপীঠ মন্দির চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, ভিআইপি গেটের সামনে ৫০ মিটার পর্যন্ত লম্বা লাইন। সাধারণ লাইন জীবিত কুণ্ড থেকে মন্দির পর্যন্ত এঁকে বেঁকে প্রায় একশো মিটার চলে গিয়েছে। মন্দিরের সেবাইতরা জানালেন, রাত দু’টো থেকে শুরু করে এই লাইন শুরু হয়েছে। তবে সোমবার বেলা বাড়তেই সেই লাইন ক্রমশ পাতলা হতে দেখা গিয়েছে। তবে সন্ধ্যা নামতেই আবারও ভীড় বেড়েছে।

তবে আগের থেকে তারাপীঠের পরিষেবা উন্নত হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ভক্তদের অনেকেই। বছর দশেক আগে কৌশিকী অমাবস্যার সময় হাওড়া থেকে তারাপীঠে এসেছিলেন প্রবীর ঘোষ, নৈহাটির বারীন ভট্টাচার্য, বরানগরের শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়রা। তাঁরা বলছেন, ‘‘তারাপীঠ আসার জন্য ফোর লেনের রাস্তা থেকে, রাস্তার আলো, সেতু সংস্কার, তোরণদ্বার করে তারাপীঠের ভোল পাল্টে গিয়েছে।’’ তাঁদের আশা, আগামী দিনে তারাপীঠে নতুন ফুটব্রিজ হবে। তার উপর দিয়ে দর্শনার্থীরা তারাপীঠে পৌঁছতে পারবেন। শ্মশানেও বৈদ্যুতিন চুল্লি দেখতে পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE