Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পদযাত্রা, ম্যাচ খেলে স্বাধীনতা উদ্‌যাপন

বিভিন্ন ক্লাবেও নানা অনুষ্ঠান হয়। বিষ্ণুপুরের শ্যামসুন্দরপুর সেবা সঙ্ঘের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে পাঁচ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা হয়।

একসঙ্গে: হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র

একসঙ্গে: হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৭ ০০:১৮
Share: Save:

নানা অনুষ্ঠানে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বড়জোড়া গ্রাম দীপাবলি সব পেয়েছির আসরের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌমাথা মোড় লাগোয়া একটি হলঘরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্যুইজ হয়। শতাধিক শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকেরা ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দ। বিভিন্ন থানাতেও পতাকা তোলা হয়।

বিভিন্ন ক্লাবেও নানা অনুষ্ঠান হয়। বিষ্ণুপুরের শ্যামসুন্দরপুর সেবা সঙ্ঘের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে পাঁচ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। পরে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে অসুস্থদের ফল বিতরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থার সভাপতি রফিকুল হাসান।

পুরুলিয়া জেলাতেও সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এই দিনটি যথাযথ গুরুত্ব-সহকারে উদ্‌যাপিত হয়। পড়ুয়াদের নিয়ে পদযাত্রা করে পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা গুণীজনদের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় পুলিশ। পদযাত্রায় ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিজাত বিশ্বাস, পুরুলিয়া সদর থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার, পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার ওসি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সিআই দেবাশিস পাহাড়ি প্রমুখ।

তবে নর্থ লেক রোডে কংগ্রেস ভবনের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, মহাত্মা গাঁধী, কাজী নজরুলের মূর্তিতে মালা দেওয়া হলেও ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তিতে মালা না দেওয়ায় পুলিশকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘সমস্ত শহিদ বা মণীষীদের মূর্তিতে মালা দিলেও ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তিতে মালা দেওয়া হয়নি। পুলিশের বোধহয় এ কথা জানা নেই, যে ইন্দিরা গাঁধী দেশের একতা রক্ষার জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন।’’

মানবাজারে বুধবার মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এই মহকুমার পাঁচটি ব্লকে কোথাও প্যারেড, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কোথাওবা ফুটবল প্রতিযোগিতা, পুলিশের উদ্যোগে জনসংযোগ কর্মসুচি প্রভৃতি পালিত হল। মঙ্গলবার ভোরে মানবাজার গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীরা ব্যান্ডে দেশাত্মবোধক গান বাজিয়ে শহর পরিক্রমা করে। মানবাজার মহকুমা অফিসে মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। স্ট্রাকো জওয়ানরা রুট মার্চ করেন। মহকুমা অফিসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মানবাজার থানা চত্বরে হয়। এখানে পতাকা উত্তোলন করেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের রাস্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে জেলা পরিষদের পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল শ্রীমানি, এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার ও বিডিও-রা উপস্থিত ছিলেন।

বরাবাজারে পুলিশের উদ্যোগে ফুলঝোর কাশিডি গ্রামে গৃহস্থালী সরঞ্জাম, ছাতা, পোশাক প্রভৃতি বিলি করা হয়েছে। বান্দোয়ানে আরএনসি বিদ্যাপীঠ এবং এএনঝা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা পতাকা নিয়ে বাজারে র‌্যালি করে। বান্দোয়ান চ্যালেঞ্জার ক্লাবের উদ্যোগে এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়।

দুই জেলায় সোমবার রাত ১২টায় তৃণমূল কর্মীরা স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। অনেক জায়গায় অনুষ্ঠান হয়। বাজিও ফাটানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE