প্রচার: নলহাটিতে ভোটপ্রচারে অনুব্রত মণ্ডল।
তৃণমূল–বিজেপির প্রচার, পাল্টা প্রচারের বুধবার তাতল ভোটের নলহাটি।
তৃণমূলের তোলা ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’র পাল্টা এ বার তৃণমূলকে বাংলা ছাড়া করার আহ্বান জানালেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় নলহাটি রামমন্দির এলাকা থেকে রোড-শো করেন লকেট। নলহাটি শহর পরিক্রমা করে ওই রোড-শো। শেষে ৯ নম্বর ওয়ার্ডেই হুডখোলা জিপে দাঁড়িয়ে পথসভা করেন লকেট। সেখানেই তৃণমূলের বাংলা ছা়ড়া করার আহ্বান জানান। লকেটের কথায়, ‘‘কেউ ভারত ছাড়বে না। উল্টে তৃণমূলকেই বাংলা ছাড়তে হবে।’’ এর জবাবে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ, ‘‘ওর কথার আর কী দাম আছে?’’
লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার।
প্রচারে বেরিয়ে এ দিন তৃণমূলকে এক হাত নেন লকেট। বিজেপির এই রাজ্য নেত্রীর কথায়, ‘‘এখন বাংলার নানা প্রান্তে বিশৃঙ্খলা, বিস্ফোরক উদ্ধার, গরু পাচার, মহিলাদের প্রতি অত্যাচার প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূম আবার সে সবে এক নম্বরে রয়েছে।’’ তৃণমূলের জমানায় বীরভূম তো বটেই, রাজ্যে তেমন কাজ হয়নি বলেও অভিযোগ করেন লকেট। সমালোচনা করেন বাম জমনাকেও। এরপরেই তাঁর আর্জি, ‘‘একবার বিজেপিকে সুযোগ দিয়ে দেখুন। কী ভাবে উন্নতি করতে হয় দেখিয়ে দেব। শেখাব কী করে প্রশাসনকে মানুষের কাজে লাগাতে হয়।’’ এই জেলায় বিজেপি কিছুটা শক্ত মাটির উপরে দাঁড়িয়েছে বলেই এখানে আক্রমণ, হামলা বেশি হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীর। রাস্তায় নেমেই নিজেদের অধিকার অর্জন করে হবে, মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রোড-শো, পথসভা দিয়ে ভোট প্রচারে ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ অন্য নেতৃত্ব। ১, ২, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হুডখোলা জিপে প্রচার করেন অনুব্রত। পথসভা করেন ১৫ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রতিটি জায়গাতেই ছিল উপচে প়ড়া ভিড়। এ বারও পুরবোর্ড শাসকদলেই হাতেই থাকবে বারেবারে সে কথাও আগেভাগে জানিয়ে রেখেছেন অনুব্রত। এ দিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার করে কংগ্রেসও।
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy