Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রাথমিক রিপোর্টে আছাড়ের প্রমাণই মিলল

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুর সু্পার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল আদ্রা থানার বহড় গ্রামের চার বছরের শিশু সঞ্জয়ের। শুক্রবার তার মা রুবি খাতুন পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালতে: রহিম। নিজস্ব চিত্র

আদালতে: রহিম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আদ্রা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০২:১৯
Share: Save:

মাথায় জোরে আঘাত লেগে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে আদ্রার বহড় গ্রামের চার বছরের মূক ও বধির সঞ্জয়ের। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। আছাড় মেরে তাঁর স্বামী রহিম শেখ ছেলেকে খুন করেছে বলে শুক্রবার আদ্রা থানায় অভিযোগ করেছিলেন সঞ্জয়ের মা রুবি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে আছাড় মারার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার রহিমকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুর সু্পার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল আদ্রা থানার বহড় গ্রামের চার বছরের শিশু সঞ্জয়ের। শুক্রবার তার মা রুবি খাতুন পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রহিম মত্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ছেলেকে আছা়ড় মারেন। অভিযোগ পেয়েই রহিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলে জন্ম থেকেই মূক ও বধির হওয়ায় ক্ষোভ ছিল রহিমের। মদ্যপ রহিম প্রায় প্রতিদিনই ছেলেকে কথা বলার জন্য জোর করতেন। চলত অত্যাচার। গরম চা, জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া। বাধা দিতে গেলে স্ত্রী রুবিকেও মারধর করতেন রহিম। সঞ্জয়ের শরীরে অনেক পোড়া দাগ পেয়েছে পুলিশ। সেগুলি ওই ছ্যাঁকা থেকেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সঞ্জয়কে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের যে চিকিতসকেরা দেখেছিলেন, তাঁদের এক জন এ দিন বলেন, ‘‘শিশুটি যখন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, তখনই ওর অবস্থা যথেষ্ঠ খারাপ ছিল। অজ্ঞান অবস্থায় মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE