গরমে: বলরামপুরে তৃণমূলের কর্মিসম্মেলনে গলা ভেজানো। নিজস্ব চিত্র
লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কর্মীদের মাঠে নামাতে কোমর বাঁধছে তৃণমূল। রবিবার পুরুলিয়ার তিনটি বিধানসভা এলাকায় কর্মিসম্মেলন করল তৃণমূল। বলরামপুর, বান্দোয়ান এবং মানবাজারের তিনটি সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন মানস ভুঁইয়া এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। ২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় কর্মিসম্মেলন চলবে।
এ দিন জেলার বলরামপুর সরাই ময়দানের কর্মিসভায় নেতাগিরি না করে এলাকার মানুষের সঙ্গে সমানে সমানে কথা বলতে কর্মীদের নির্দেশ দেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আমাদের ক্ষমতায় এনেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন।’’ কর্মীদের জানান, এই বার্তা খোদ দলনেত্রীর। সভায় উপস্থিত কর্মীদের নৈহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন মানুষ আপনার সঙ্গে কথা বলত না। রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পরে একশো জন মানুষ এখন আপনার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু আপনারা গ্রামে গিয়ে ক’জনের সঙ্গে কথা বলেন? মানুষের কথা শুনুন। তাঁদের সব কাজই করে দিতে পারবেন না। যেটা পারবেন না, সেটা কেন পারলেন না বুঝিয়ে বলুন।’’
দলে আদি এবং নতুন যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গও উঠে আসে। বলরামপুরের সভায় সেই প্রসঙ্গ টেনে মঞ্চে উপস্থিত মানস ভুঁইয়ার উদাহরণ দেন পার্থবাবু। বিধানসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মানসবাবু। পার্থবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা যোগ্য তাঁদের যোগ্য সম্মানটুকু তো দিতে হবে। কিন্তু দলে যাঁরা দীর্ঘদিন রয়েছেন তাঁদেরও প্রণাম করতে হবে।’’ বান্দোয়ানের সভায় মানসবাবু কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনাদের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা রয়েছে।’’ নাম না করে তিনি এ দিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতোকেও। মানসবাবু বলেন, ‘‘এখানে আমার এক জন ভাই আছে। সে শুধু এ দিক সে দিক ঘুরে বেড়ায়। আমি তাঁকে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
জেলায় ১৭০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমুল পরিচালিত ১৪৩টি। ২৭টি পঞ্চায়েত বিরোধীদের দখলে রয়েছে। তিনটি সভায় সব ক’টি পঞ্চায়েতই বিরোধীশূন্য করার ডাক দেন মঞ্চে উপস্থিত নেতানেত্রীরা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, জেলা সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর মতো নেতানেত্রীরা সভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy