Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কাশীপুরে ঘরের মাঠে হার বিধায়ক একাদশের

ব্যাটসম্যান চার বা ছক্কা হাঁকালেই মাইকে ব্যান্ডের গান। ওভার শেষ হলে বা উইকেট পড়লে মাইকে বাংলা-হিন্দিতে ধারা বিবরণী। মাঠের ধার ঘেঁষে উঁচু আলোকস্তম্ভ।

আলো: কাশীপুরে। নিজস্ব চিত্র

আলো: কাশীপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:১৫
Share: Save:

পুরুলিয়া

ব্যাটসম্যান চার বা ছক্কা হাঁকালেই মাইকে ব্যান্ডের গান। ওভার শেষ হলে বা উইকেট পড়লে মাইকে বাংলা-হিন্দিতে ধারা বিবরণী। মাঠের ধার ঘেঁষে উঁচু আলোকস্তম্ভ। মায়াবি আলোয় ভেসে যাচ্ছে মাঠ। টিভির পর্দার আইপিএল-এর এক টুকরো পাড়ার মাঠেই। যে মাঠে রোজ সকালে হাঁটতে যান এলাকরা অনেকে, শুক্র ও শনিবার রাতে কাশীপুরের সেই মাঠেরই ভোল বদলে দিল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। তবে ফাইনালে পুরুলিয়ার সুনীল মোটরসের কাছে ঘরের মাঠে হেরেছে বিধায়ক একাদশ।

স্থানীয় সেবাব্রতী সঙ্ঘ আয়োজিত ওই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল ১৫টি দল। রবিবার ছিল ফাইনাল খেলা। কাশীপুর বিধায়ক একাদশ ও পুরুলিয়া সুনীল মোটরস একাদশ মুখোমুখি মাঠে নামে। বিধায়ক একাদশের অধিনায়ক স্বপন বেলথরিয়া স্বয়ং নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত থেকে ম্যাচের পরিকল্পনা ছকে দেওয়া— সবই করেছেন ডাগ আউটে বসে। বিধায়ক একাদশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৮ ওভারে তিন উইকেটে ৬৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পুরুলিয়া সুনীল মোটরস একাদশ ষষ্ঠ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

প্রতিযোগিতার বিধি মোতাবেক পঞ্চম ওভারটি ছিল ম্যাজিক ওভার। ওই ওভারে যত রান উঠবে স্কোরবোর্ডে তার দ্বিগুণ রান যোগ হবে। চার ওভারের শেষে পুরুলিয়ার রান ছিল ২৮। ঘরের মাঠে বিধায়ক একাদশের সমর্থকেরা আশা করেছিলেন ম্যাজিক ওভারে আঁটোসাঁটো বোলিং করতে পারলেই তাঁরা ম্যাচে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছবেন। কিন্তু পুরুলিয়া ম্যাজিক ওভারে ১৬ রান তুলে বোর্ডে ৩২ রান পেয়ে যায়। মোট স্কোর দাঁড়ায় ৬০। বাকি তিন ওভারে ৬ রান তোলা ছিল সময়ের অপেক্ষা।

ফাইনালে পুরুলিয়ার কাছে পরাজয়ের পরে বিধায়ক একাদশের অধিনায়ক তথা প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা স্বপন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘খেলায় হারজিত তো রয়েছেই। জিতেছে ক্রিকেট। এই যে এত রাতেও মানুষ মাঠে ভিড় করে খেলা দেখছেন, এই উন্মাদনাটাই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছিল।’’

বিধায়ক জানান, রাজ্য সরকার ওই মাঠটিকেই স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে তুলবে। মাঠে উপস্থিত মানভূম ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সচিব হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই মাঠে ক্রিকেটের আদর্শ পরিবেশ রয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল চন্দ, গোবর্ধন শীল, সঞ্জয় নারসারিয়া, তারাপদ দে, বাবলু মোদকদের কথায়, ‘‘দিনের বেলায় তো তীব্র রোদে বাইরে পা রাখাই দায়। রাতে মাঠের এই মায়াবি পরিবেশে ক্রিকেটের টানে ভিড় জমেছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MLA eleven cricket
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE