ঘরহারা: ঝালদায় সাফাই কর্মীদের ভাঙা আবাসন। নিজস্ব চিত্র
ভেঙে ফেলা হয়েছে পুরনো আবাসন। কিন্তু কথা মতো সেই জায়গায় নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ঝালদা পুরসভার সাফাই কর্মীরা।
ঝালদা পুর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তারা ডুংরি এলাকায় শ্রমিক আবাসন ছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, আগের বোর্ড জীর্ণ আবাসন ভেঙে নতুন করে গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ৬১ লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রথম দফার ৫৭ লক্ষ টাকা চলেও আসে। তার পরেই তারা ডুংরি এলাকায় সাফাই কর্মীদের আবাসনগুলি ভেঙে ফেল পুরসভা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ডিসেম্বরে আবাসন ভাঙা হলেও এখনও নির্মাণ কাজে হাতই দেওয়া হয়নি। এক সাফাই কর্মী বলেন, ‘‘খুব অল্প টাকা মজুরি পাই। তার থেকেই এখন মাসে দেড় হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে।’’ সাফাই কর্মী বড়কু ডোম, অজয় ডোম, রাজু বাল্মিকীদের বক্তব্য, ‘‘পুরসভা তাড়াতাড়ি আবাসন গড়ার কাজ শুরু না করলে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়বে।’’
সাফাই কর্মীদের অভিযোগ সমর্থন করেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা মধুসূদন কয়াল। তিনি বলেন, ‘‘প্রকল্পের টাকা বেশ কয়েক মাস ধরে এসে পড়ে রয়েছে। পুরনো জায়গাতেই তো নতুন বাড়ি তৈরি হবে। কেন কাজ শুরু হয়নি সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।’’
পুরপ্রধান সুরেশ অগ্রবালের দাবি, কাজ শুরু করতে গিয়ে জমি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘ওই জমি এক কালে ঝালদার রাজপরিবারের ছিল। পরে সরকার অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ওই জমির মধ্যেই কিছুটা এক ব্যক্তির মালিকানাধীন। তিনি আবাসন গড়ার ব্যাপারে আপত্তি তোলেন।’’ পুরপ্রধানের দাবি, এই সমস্যা নিয়ে তাঁরা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি দফতর তাঁদের সরকারি জমির মাপ জানিয়েছে। ওই জমি চিহ্নিত করে দ্রুত আবাসন গড়ার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy