পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের অনাস্থা জমা পড়ল মানবাজারের বিসরি পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্যের সই করা ওই আবেদন জমা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা চলছে। তলবি সভার দিন এখনও স্থির করা হয়নি।
২০১৩ সালে নির্বাচনে বিসরি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠিত হয়। ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১১, সিপিএমের ২ জন। তৃণমূল নিরঙ্কুশ ভাবে বোর্ড গঠন করলেও দলীয় দ্বন্দ্ব বারেবারে প্রকাশ্যে এসেছে। উন্নয়নের কাজ ব্যহত হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড গঠনের দেড় বছর পরে অনাস্থায় অপসারিত হন প্রধান তৃণমূলের সজ্জিতা বেসরা। নতুন প্রধান নির্বাচন করা হয় দলেরই আর এক সদস্য লতা সিংহকে।
এ বারে লতাদেবীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন প্রাক্তন প্রধান সজ্জিতাদেবী এবং তৃণমূলেরই তরণী মাঝি, চম্পা বাউরি, কল্যাণী বাউরি ও নেপুর বাউরি। সম্প্রতি বিসরি অঞ্চল সভাপতির পদ পেয়ছেন নেপুর বাউরি। লতাদেবী দলের অন্দরে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি দিলীপ বাউরির অনুগামী বলে পরিচিত। অনাস্থা আনা সদস্যদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতে উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। গত কয়েক বছরে পঞ্চায়েতে উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির জন্য কোনও সংসদ সভা বসেনি। ফলে পরিকল্পনাও হয়নি। আগের কয়েকটি প্রকল্পের টাকা খরচ না হওয়ায় নতুন করে টাকাও মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রসঙ্গে বর্তমান প্রধান লতা সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দল আমাকে প্রধান মনোনীত করেছে। দল না চাইলে পদ ছেড়ে দেব।’’
নেপুর বাউরি অঞ্চল সভাপতি নেপুর বাউরি ব্লক কার্যকরী সভাপতি দিলীপ পাত্রের অনুগামী হিসাবে পরিচিত । দিলীপ পাত্রের দাবি অনাস্থা চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে কিনা আমার জানা নেই । তবে সদস্যরা চাইলে প্রধান পদে ফের বদল হতেই পারে ।
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অনাস্থা চেয়ে আবেদন জানাতে পারেন। তলবি সভায় মোট সদস্যের অর্ধেক উপস্থিত হলে কোরাম হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy