Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

তার জুড়তে বাধা, বিদ্যুৎ নেই ৮ গ্রামে

হাইটেনশন তার জুড়তে বাধা দেওয়ায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল মুরারইয়ে ৮ গ্রামে!স্থানীয় সূত্রে খবর, যেখানে তার ছিঁড়েছে সেই এলাকায় হাইটেনশন তার কয়েকটি বাড়ির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩১
Share: Save:

হাইটেনশন তার জুড়তে বাধা দেওয়ায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল মুরারইয়ে ৮ গ্রামে!

স্থানীয় সূত্রে খবর, যেখানে তার ছিঁড়েছে সেই এলাকায় হাইটেনশন তার কয়েকটি বাড়ির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন ওই তার সরিয়ে নেবার জন্য।

শুক্রবার গভীর রাতে তার ছিঁড়ে যাওয়ার পরে তাঁরা আর তার জুড়তে দেননি।

ফলে মুরারই থানার বিস্তীর্ণ এলাকা শুক্রবার রাত থেকে অন্ধকারে ডুবে যায়। বিদ্যুৎ না থাকার জন্য গরমে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। মুরারই থানার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ বিদ্যুৎবাহী ওই তার অন্য দিক নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির আধিকারিকদের কাছে গণ সাক্ষর করে দাবি জানিয়ে আসছে। শনিবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়া বৈদ্যুতিক তার সংযোগ করতে সক্ষম হন বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের কর্মীরা ।

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম সূত্রে জানা যায়, মুরারই থানার মহুরাপুর ফিডার লাইনের সঙ্গে ওই থানারই গোপালপুর গ্রামের পাশ দিয়ে হাইটেনশন তার দশ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্ত হয়েছে।

বছর দু’য়েক আগে গোপালপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় ৫টি পরিবার হাইটেনশন তারের নীচে বসতি স্থাপন করে।

রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের রামপুরহাট মহকুমার বিভাগীয় বাস্তুকার শুভময় সরকার বলেন, ‘‘এলাকায় বাড়ি তৈরি করার অনেক আগেই এগারো হাজার কেভির তার আছে। এখন কিছু লোক সেই তার সরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করছেন। বিচ্ছিন্ন হওয়া তার সংযোগে বাধা দিচ্ছেন। তার সরিয়ে নিতে বলার এটা কোনও পথ নয়। এলাকাবাসী লিখিত ভাবে আবেদন জানাবেন। বিষয়টি দেখা হবে।’’

এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন শুভময় সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Electricity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE