Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্যুৎ নেই, জল সঙ্কটে হাতগাড়া

একটানা দু’দিন বিদ্যুৎ নেই। ফলে সাব-মার্সিবলে জল উঠছে না। তার মধ্যে দু’টি নলকূপের একটি খারাপ। অন্য একটি নলকূপ থেকে জল পড়ছে খুবই সামান্য। তাতেও চাহিদা মিটছে না। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুরেই এখন স্নান সারতে হচ্ছে মানুষ ও গবাদি পশুর। বিষ্ণুপুর ব্লকের বেলশুলিয়া অঞ্চলের হাতগাড়া গ্রামের ঘটনা।

সাবমার্সিবল পাম্প বন্ধ। তাই এই পুকুরের জলই এখন ভরসা।—নিজস্ব চিত্র

সাবমার্সিবল পাম্প বন্ধ। তাই এই পুকুরের জলই এখন ভরসা।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৬ ০০:৫৮
Share: Save:

একটানা দু’দিন বিদ্যুৎ নেই। ফলে সাব-মার্সিবলে জল উঠছে না। তার মধ্যে দু’টি নলকূপের একটি খারাপ। অন্য একটি নলকূপ থেকে জল পড়ছে খুবই সামান্য। তাতেও চাহিদা মিটছে না। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুরেই এখন স্নান সারতে হচ্ছে মানুষ ও গবাদি পশুর। বিষ্ণুপুর ব্লকের বেলশুলিয়া অঞ্চলের হাতগাড়া গ্রামের ঘটনা।

মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জলের অভাবে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা অনন্ত লোহার, বাবলু মান্ডি, রীনা লোহার, ভক্তি লোহাররা বলেন, ‘‘একে প্রচণ্ড গরমে এলাকার বহু পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে। দু’টি নলকূপের একটি খারাপ, অন্যটিও তথৈবচ। এখন আমাদের ভরসা— হাঁটু জল একটি পুকুর। এই অবস্থায় আমাদের অবলম্বন ছিল সাব-মার্সিবল পাম্প। কিন্তু দু’দিন পেরিয়ে গেল বিদ্যুৎ না থাকায় তাও অচল।’’ তাঁদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে অনেকে বাধ্য হয়ে এঁদো পুকুরের জলে রান্নার কাজ সারছেন।

ওই গ্রামে প্রায় ৩৫টি পরিবারের বাস। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, একটি নলকূপ থেকে বহু কষ্ট করে সামান্য জল উঠছে। সেই জল নিয়েও চলছে কাড়াকাড়ি। সমস্যা মেটাতে দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। বিষ্ণুপুরের বিডিও জয়তী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খবরটা এ দিনই আমাদের কাছে এসেছে। খারাপ হয়ে থাকা নলকূপটি সারাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিষেবা চালু রাখার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ বিষ্ণুপুরের জেলা পরিষদ সদস্য মথুর কাপড়িও জানান, ওই সমস্যার কথা এ দিনই তিনি জেনেছেন। বিদ্যুৎ দফতরের বিষ্ণুপুর স্টেশন ম্যানেজারকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের স্টেশন ম্যানেজার জয়দীপ হালদার বলেন, ‘‘একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফিউ়জ উড়ে যাওয়াতেই ক’দিন ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তবে কর্মীরা মেরামতির কাজ করছেন।’’ তাঁর আশ্বাস, শীঘ্রই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE