বাড়ির পথে। নিজস্ব চিত্র
সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্যোগে ঝালদায় গিয়ে ঘর খুঁজে পেলেন বাঁকুড়ার এক প্রৌঢ়।
উস্কোখুস্কো চুল, তাঁর পরনে ময়লা জামা-গামছা। দুর্গন্ধে সবাই তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। ঝালদার তুলিন মধ্যপাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে স্নান করিয়ে খাবার দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়াররা জানতে পারেন, তাঁর নাম নারায়ণচন্দ্র মাল। কিন্তু ঠিকানা মনে করতে পাচ্ছিলেন না। রমক সকম দেখে অনেকে ভেবেছিলেন, বাড়ি বুঝি ঝাড়খণ্ডে। অনেক কষ্টে তিনি একবার জানিয়ে ছিলেন গ্রামের নাম ভেদুয়া। কিন্তু জেলা, থানা কোথায়? ফের কুলুপ এঁটেছিলেন নারায়ণবাবু। তবে তাঁর কথায় বাঁকুড়ার টান দেখে কয়েকজন পুলিশ কর্মীর মনে হয়, বাড়ি বাঁকুড়া জেলায় নয়তো! বাঁকুড়া জেলার পুলিশ কর্মীরা তাঁকে নিয়ে কথা বলানোর টানা চেষ্টা চালাতে থাকেন। তখনই জানা যায়, তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া থানা এলাকায়। বাড়িতে ছেলে,মেয়ে নিয়ে ভরন্ত সংসার তাঁর। কিন্তু সে সব ছেড়ে সটান ঝালদায় কী ভাবে তিনি চলে এসেছেন, তা আর স্মরণ করতে পারেননি। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া থানায় নারায়ণবাবুর ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তুলিনের পুলিশ কর্মীরা।
বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ সেই ছবি পেয়ে ভেদুয়া গ্রামে যোগাযোগ করে প্রৌঢ়ের বাড়ির লোকজনকে খুঁজে বের করে তুলিনে পাঠান। শনিবার নারায়ণবাবুর বাড়ির লোকজন তুলিনে এসে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের লোকেদের কাছে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। দিন দশেক আগে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এ বারই প্রথম নয়, আগেও এ ভাবেই নাকি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়ণবাবু। আবার ফিরেও এসেছেন। ছেলেদের দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়ে ফেরার সময় তিনি তুলিন ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীদের ধন্যবাদও জানিয়ে বলে গিয়েছেন, এ জায়গাটা তাঁর ভাল লেগেছে। আবার আসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy