মগ্ন: বই হাতে মেলায় শিশুরা। রবিবার বিষ্ণুপুরে। নিজস্ব চিত্র
শিশুদের কাছে বইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়াতে শুরু হল শিশু বইমেলা। রবিবার বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন স্কুলের কচিকাঁচাদের নিয়ে পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে শুরু হল সপ্তম বর্ষ শিশু বইমেলা। ভগিনী নিবেদিতার স্মরণে এ বারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। মেলা চলবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত।
এ দিন বিকেলে পদযাত্রায় কেউ সারদাদেবী, কেউ স্বামী বিবেকানন্দ সেজে ছোটদের বই পড়ার আহ্বান জানান। বইকে বন্ধু তৈরির বার্তা লেখা পোস্টারও ছিল খুদেদের হাতে। শহর পরিক্রমার শেষে বাঁকুড়া রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ শিশু বইমেলার উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন দেওঘর মঠ ও মিশনের স্বামী শান্তিঘনানন্দ, বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়, রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় ও বিষ্ণুপুরের বিশিষ্টজনেরা। শিশু বইমেলা কমিটির পক্ষে দুর্গাদাস মুখোপাধ্যায় জানান, এ বরছর মোট ২৬ জন প্রকাশক কলকাতা, বর্ধমান প্রভৃতি জায়গা থেকে শিশুদের বইয়ের সম্ভার নিয়ে এসেছেন। নবদ্বীপ ও বারাণসী থেকেও প্রকাশকেরা এসেছেন। মূলত শিশুদের মনোসংযোগ এবং স্থিতিধী বাড়ানো, বই মুখো হওয়া আর পড়ার অভ্যাস বাড়ানো উদ্দেশ্য নিয়েই এই মেলা।
সাত দিনই সন্ধ্যায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে থাকছে আলোচনাসভা। সেই মতো দিনগুলিও উদ্যাপন করা হবে। সোমবার যেমন শিক্ষক দিবস, মঙ্গলবার সেবাব্রতী দিবস, বুধবার লোকসংস্কৃতি দিবস, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দিবস, শুক্রবার নারী দিবস, শনিবার ভারতবন্ধু দিবস এবং শেষ দিন রবিবার থাকছে ক্রীড়া দিবস।
এ ছাড়া কচিকাঁচাদের নিয়ে বসে আঁকা, যোগ ব্যায়াম ও প্রতি সন্ধ্যায় নাটক, আবৃত্তি, সঙ্গীত, শ্রুতি নাটকের অনুষ্ঠান থাকছে। উদ্বোধনী ভাষনে স্বামী কৃত্তিবাসানন্দ বলেন, ‘‘আমরা শুনতে পাই ই-লাইব্রেরি, ই-বুকের কথা। কিন্তু এখনও সংবাদপত্র ছাপা হয়, বহু হাজার হাজার পাঠক আছেন। ই-মিডিয়া আছে, এমন আরও মিডিয়া আসুক। কিন্তু পঠনপাঠনের ব্যাপার সারা পৃথিবী জুড়েই থাকবে। লাইব্রেরি কোনও দিন বন্ধ হবে না। বইপত্র সেখানে প্রতিবেশীর মতো থাকবে। সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মননশীল হতে হবে। আর তা হবে অধ্যাবসায়ের মধ্যে দিয়েই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy