মেধাবী: তিয়াস সাহু।—নিজস্ব চিত্র
আইসিএসই বোর্ড (দশম শ্রেণি)-র পরীক্ষায় সাফল্য পেল বোলপুরের সেন্ট টেরেজা স্কুল। স্কুলের পরীক্ষার্থী তিয়াস সাহু মেধা তালিকার একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে। ‘বেস্ট অফ ফাইভ’ এ তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।
স্কুলের অধ্যক্ষ সিস্টার জেসি বলেন, “তিয়াস ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। বিষয় ভিত্তিক নম্বর হল অঙ্কে ১০০, কম্পিউটারে ১০০, বিজ্ঞানে ৯৯, ভূগোলে ৯৯, বাংলায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮।”
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিন সপরিবার কামাক্ষ্যায় রয়েছে তিয়াস। দুপুরে পুজোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা তিয়াস ফোনে জানায়, ‘‘খুব ভাল লাগছে। স্কুলে থাকতে পারলে আরও ভাল হত। বন্ধু এবং স্কুলের থেকে রেজাল্টের কথা শুনেছি। হাতে মার্কশিট এখন পাইনি।’’ বাবা গোকুলচন্দ্র সাহু লাভপুর কলেজের অঙ্কের শিক্ষক। মা শতাব্দী সাহু বোলপুরের সেন্ট টেরেজা স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লিতে সপরিবার থাকে তিয়াস। প্রিন্সিপাল তথা ইংরাজির শিক্ষিকা সিস্টার জেসি, অঙ্কের শিক্ষক মহম্মদ জাহের আলি মণ্ডল বলছেন, ‘‘ইংরেজিতে আর ক’টা নম্বর পেলে মেধা তালিকার আরও উপরের দিকে থাকত।’’
স্কুল সূত্রের খবর, এত দিন বরাবর প্রথম হয়ে এসেছে তিয়াস। নিজের ছাত্রের এমন সাফল্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খুশি তার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিষ্ঠানের এমন সাফল্যে অনেককে এ দিন মিষ্টিমুখ করানো হয়। কম্পিউটর সায়েন্সের শিক্ষিকা সিরাত জাহান, বাংলার জয়তি রানা, ভূগোলের সুজাতা দাসরা জানান, ছোটবেলা থেকেই বরাবর ক্লাসে প্রথম। পড়াশোনার পাশাপাশি তর্ক, ক্যুইজ, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা— সবেতেই তুখোড় তিয়াস। এমন ছেলে মেধা তালিকায় স্থান পাবে, এমন আশা ছিল অনেকেরই। ভবিষ্যতে আইএএস অফিসার হতে চায় তিয়াস।
এ দিকে, ওই স্কুলের ১২৯ পরীক্ষার্থীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিয়াস সাহুর পরে ওই স্কুলের স্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে পৌষালি দাস ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy