অপসারিত: সুশান্ত মুখোপাধ্যায়।নিজস্ব চিত্র
অভিযোগ অনেক দিন ধরেই আসছিল। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দলীয় পদ থেকে অপসারণ করলেন রামপুরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় ওরফে বাবুনিকে। এ দিন দুপুরে বোলপুরে দলের কার্যালয়ে জেলা স্তরের একটি বৈঠকে এই ঘোষণা করেন তিনি। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে করে সুশান্ত বলেন, ‘‘কে বা কার প্ররোচনায় এ সব ঘটল আমি সবই জানি। সমস্ত ঘটনাই আাশিসদাকে জানিয়ে ছিলাম। বৈঠকে প্রমাণ করে দিয়েছি আমি নির্দোষ।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠক শুরু হলে ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রামপুরহাট হাসপাতালে মেয়ের চাকরির জন্য এক স্বাস্থ্য আধিকারিককে সুপারিশ করলে তিনি টাকা চান। বিষয়টি বাবুনিকে জানালে তিনি টাকা নিয়ে রফা করতে চান। ধীরেনবাবু পুরো বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জনিয়ে দেন। এ দিন বৈঠকে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বাবুনিবাবুর কাছে জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। দলীয় সূত্রে খবর, তাতে বাবুনিবাবু জানিয়ে দেন, তিনি নিজে কোনও টাকা নেননি। একটি সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন মাত্র।
এর পরেই জেলা সভাপতি তাঁকে ছ’মাসের জন্য শহর সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করেন। সভার পরে অনুব্রত বলেন, ‘‘বাবুনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ অনেক দিন ধরেই নানা জায়গা থেকে আসছিল। আজ তা প্রমাণ হয়ে যায়। সেই কারণেই তাঁকে ৬ মাসের জন্য দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তবে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।’’ বর্তমানে রামপুরহাট শহর সভাপতি করা হয়েছে অমিত চক্রবর্তীকে। এ দিন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সবই মিথ্যা। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনও আলোনা হয়নি।’’
এ দিনের বৈঠকে জেলার সব ব্লক, পুর এলাকার প্রতিনিধিরা ছিলেন। ছিলেন মৎস মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জেলার অনান্য বিধায়ক ও নেতৃত্বরাও। পৌনে একটা নাগাদ আরম্ভ হয় বৈঠকের কাজ। সামনে নলহাটির পুর নির্বাচনকে সামনে রেখেই আলোচনা হয়। জেলার বন্যা পরিস্থিতিও আলোচনায় এসে পড়ে। ভোট নিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে নলহাটি পুরসভা উন্নয়নে ৪৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy