Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূল কর্মী খুনে ধৃত মিলন

আদিবাসীদের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত রাজনগর আদিবাসী ল্যাম্পস ভোটের আগে পর্যন্ত সিপিএমের দখলেই ছিল। সেই সমবায়ের দখল নিয়েই চূড়ান্ত সংঘাত বাঁধে শাসক ও বিরোধীর মধ্যে।

হেফাজত: সিউড়ি আদালতে।—  নিজস্ব চিত্র

হেফাজত: সিউড়ি আদালতে।— নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৭ ০১:৫৯
Share: Save:

রাজনগরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। ধৃতের নাম সমিউল আখতার ওরফে মিলন। মঙ্গলবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে ধরা হয়।

গত ১৯ জুন রাজনগরের একটি আদিবাসী সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধীর সংঘাতে তেতে ওঠে বীরভূমের রাজনগর। রাজারকেন্দ গ্রামে মুখোমুখি সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বলরাম মণ্ডল (৩৮) নামে সক্রিয় এক তৃণমূল কর্মীর। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম, বিজেপি মিলিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এলাকার সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবীশ্বর পাঁউরিয়া-সহ চার জন। তবে তৃণমূলের দাবি, মূল অভিযুক্ত ছিলেন মিলন-ই। তৃণমূলের আরও দাবি, তিনি স্থানীয় বিজেপি কর্মী। যদিও ধৃতকে তাঁদের লোক বলে স্বীকার করেনি বিজেপি। বুধবার সিউড়ি এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক রিনা তালুকদার।

আদিবাসীদের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত রাজনগর আদিবাসী ল্যাম্পস ভোটের আগে পর্যন্ত সিপিএমের দখলেই ছিল। সেই সমবায়ের দখল নিয়েই চূড়ান্ত সংঘাত বাঁধে শাসক ও বিরোধীর মধ্যে। বিরোধীদের দাবি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি পর্যন্ত সবস্তরে শাসকদলের দখল থাকলেও আলিগড় গ্রামের ওই সমবায়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ভোটের আগে সেটির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও তেমনটা মানতে চাননি শাসকদলের নেতারা। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, ল্যাম্পসের দখল পেতে মনোনয়ন পত্র তোলার সময় থেকেই সন্ত্রাস চলছিল। এ নিয়েই ক্ষোভ জমছিল আদিবাসীদের মধ্য। সোমবার নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের নিয়ে ভোটারদের আটকানোরও চেষ্টা হয়।

তৃণমূলের রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার সাধুর দাবি, ‘‘ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছিল দেখে ওই গ্রামে নেতাকর্মীরা গিয়ে অতর্কিতে আক্রমণের মুখে পড়েন। অভিযোগে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।’’ নির্বাচনের পর এখন অবশ্য সমবায়টি তৃণমূলের দখলেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE