ধৃত আজিজুল ইসলাম এবং আরিফ খান। ছবি :অনির্বাণ সেন
বোলপুর থেকে চৌমণ্ডলপুর বীরভূম জেলা জুড়ে ক্রমান্বয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ-পেটানোর সেই ক্রমিক ঘটনার সুতোয় জড়িয়ে গিয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মীর নাম। দিন কয়েক আগে, রামপুরহাটের হাটতলায় টহলদারির সময়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন রামপুরহাট থানার এক কনস্টেবল এবং তাঁর সঙ্গী এনভিএফ কর্মী।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, ঘটনাটি নিছকই তিন মদ্যপ যুবকের ‘গুন্ডামি’। কিন্তু শুক্রবার রাতে ওই ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতারের পর তাদের পরিচয়েও মিলেছে ‘রাজনীতির গন্ধ’। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ধৃত দু’জনই শাসক দলের কর্মী বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।” জেলা বিজেপি-র অভিযোগ, ধৃত আরিফ খান ওরফে বিকি ও আজিজুল ইসলাম ওরফে রকি স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। বিরোধী সূত্রেই জানা গিয়েছে তৃণমূলের মিটিং-মিছিলে প্রায়ই দেখা যায় এলাকার পরিচিত ওই দুই মুখকে। মন্ত্রী অবশ্য ওই দুই ‘কর্মী’কে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই দুই যুবকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই। আশিসবাবুর প্রশ্ন, “পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে। তার মানেই তারা তৃণমূলের কে বলল?” জেলা তৃণমূলের অভিযোগ, ‘মিথ্যা’ প্রচার করে তৃণমূলের ‘বদনাম’ করছে বিজেপি।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, ধৃত আরিফের বাবা আনোয়ার খান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। রামপুরহাটে মন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁকে প্রায় নিয়মিত দেখা যায়। আজিজুলের দুই মামাও এলাকায় ‘সক্রিয়’ তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, “ওই দুই যুবক, বাবা ও মামাদের পরিচয় কাজে লাগিয়ে তোলাও আদায় করে।” এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও-এর বক্তব্য, “পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দু’জনকে ধরা হয়েছে। তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা নেই।” শনিবার ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy