Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি কর্মীকে মারধরের নালিশ

বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, হুড়া থানার চাটুমাদার গ্রাম পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা পিরু সিংহ সর্দার নামের ওই ব্যক্তি গত মে মাসে গ্রামের আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন।

পুরুলিয়া হাসপাতালে আহত বিজেপি কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।

পুরুলিয়া হাসপাতালে আহত বিজেপি কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হুড়া শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৪
Share: Save:

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া এক আদিবাসী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

শনিবার হুড়া থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ঘটনা। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে সেখান থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর বলে তাঁকে সন্ধ্যায় পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে।

বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, হুড়া থানার চাটুমাদার গ্রাম পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা পিরু সিংহ সর্দার নামের ওই ব্যক্তি গত মে মাসে গ্রামের আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন।

তাঁরা বিজেপির হয়েই কাজ করছিলেন। পিরু দলকে জানিয়েছিলেন যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফের পুরনো দলেই ফিরে যেতে বলছেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর উপরে চাপ বাড়ছে। কিন্তু তিনি আর পুরনো দলে ফিরতে রাজি নন। সে কথা তাঁদের জানিয়েও দিয়েছেন।

অভিযোগ, শনিবার সকালে তিনি যখন বাড়ির বাইরে আসেন, তখন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা দুই তৃণমূল নেতা তাঁর উপরে চড়াও হন। তাঁর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তাই তাঁকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেননি। দুই নেতা মিলে তাঁকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের একজন তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি।

বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘মার খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পিরু যখন গ্রামের রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, তখন কেউ তাঁকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যাননি। কারণ দুই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়েছিলেন, কেউ যেন সাহায্য না করেন।’’ তিনি জানান, তাঁরাই খবর পেয়ে পুলিশ ও দলের স্থানীয় কর্মীদের সেখানে পাঠান।

পরে তাঁকে তুলে এনে প্রথমে হুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তারপরে সেখান থেকে পুরুলিয়ায় আনা হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, ‘‘আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। পিরুবাবুর জ্ঞান ফেরেনি। কথা বলা যায়নি তাঁর সঙ্গে। ওর বাড়িতে কেউ নেই বলে আমরা পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছি।’’

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, পিরু সিং সর্দারের স্ত্রী বাপের বাড়িতে ছিলেন। ছেলে বাইরে কাজ করে। যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। ফিরলেই এফআইআর করা হবে। বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের প্রশ্ন, ‘‘তৃণমূল যদি উন্নয়নের কাজ করেছে, তাহলে এ ভাবে নিরস্ত্র মানুষকে মারতে হবে কেন? মানুষ তো উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবেন।’’ তৃণমূলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এই এলাকারই বাসিন্দা নরেন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একটি কর্মসূচিতে বাইরে ছিলাম। ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC বিজেপি তৃণমূল
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE