Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

১১ বছর খোঁজ নেই শিক্ষকের

স্কুলে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তার পরে কেটে গিয়েছে ১১ বছর। কিন্তু তাঁর আর খোঁজ নেই। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারীর হদিস না মেলায় আতান্তরে পড়ে শিক্ষকের পরিজনেরা পেনশনের দাবি জানিয়েছেন।

শ্রীজীব মহান্তী। নিজস্ব চিত্র

শ্রীজীব মহান্তী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭ ০০:২৫
Share: Save:

স্কুলে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তার পরে কেটে গিয়েছে ১১ বছর। কিন্তু তাঁর আর খোঁজ নেই। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারীর হদিস না মেলায় আতান্তরে পড়ে শিক্ষকের পরিজনেরা পেনশনের দাবি জানিয়েছেন।

মানবাজার থানার ঝাড়বাগদা গ্রামের বাসিন্দা শ্রীজীব মহান্তী স্থানীয় মধুপুর প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মীরা মহান্তী জানান, ২০০৭ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। তাঁর দাবি, ‘‘স্বামীর মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল। আমরা ভেবেছিলাম তিনি হয়তো পথ ভুল করেছেন বা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান চালিয়েও খোঁজ না পেয়ে ১৪ এপ্রিল মানবাজার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করি। কিন্তু পুলিশ স্বামীর খোঁজ দিতে পারেনি। সিআইডি-র দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’

তিনি জানান, স্বামীর বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই ছেলে তন্ময় ও মৃন্ময়কে অনেক কষ্টে তিনি বড় করেন। দুই ভাই বলেন, ‘‘এত দিনেও বাবার খোঁজ না পাওয়ায় আমার মা পারিবারিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী। ২০১৩ সাল থেকে পারিবারিক পেনশনের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছি। কিন্তু তা আজও চালু হল না।’’

মানবাজার ১ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক ইরা সুবুদ্ধি জানান, শ্রীজীববাবুর নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জেলা শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) অলোক মহাপাত্র বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষক সাত বছরের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকলে, তাঁকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়। আমি খুব বেশিদিন এই পদে আসিনি। ওই শিক্ষকের পরিবার আগে হয়তো নথি পাঠিয়ে থাকতে পারেন। তাঁরা আমার সঙ্গে দেখা করে নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত নথি দিলে পারিবারিক পেনশন চালুর বিষয়ে সহযোগিতা পাবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Missing Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE