প্রতীকী ছবি।
ছ’দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুটি। শনিবার বিকেলে তাকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে। রাতে সেখানেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘কার্ডিয়াক ফেলিওর’ লেখেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
রামপুরহাটের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া গ্রামের ওই শিশুটির নাম আব্দুল রহমান। তার পরিজনরা জানিয়েছেন, জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা ছিল শিশুটির। বমিও করছিল সে। দিনপাঁচেক ধরে গ্রামের এক চিকিৎসক তার চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু শনিবার দুপুরে পরিস্থিতি খারাপ হয়। বিকেল চারটে নাগাদ তাকে রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনরা। রাত ৯টা নাগাদ সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
রবিবার দুপুরে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, এলাকার ১০-১৫টি বাড়ির কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। বেশিরভাগই যাচ্ছেন স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে। কারও কারও জ্বর কমলেও, অনেকে এখনও অসুস্থ। গ্রামের অলিগলি ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা। নেই ভাল নিকাশি ব্যবস্থাও। কয়েক জায়গায় পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। জমা জলে ভাসছে মশার লার্ভা। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গুতে একের পর এক মৃত্যুর খবরে তাঁরা আতঙ্কিত। গ্রামে ছড়িয়েছে জ্বর। কিন্তু তাতে স্বাস্থ্য দফতর, পঞ্চায়েতের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। গ্রামে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়নি। দেওয়া হয়নি মশানাশক স্প্রে-ও।
রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যুর খবর রবিবার দুপুর পর্যন্ত পাননি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) স্বপন ওঝা বলেন, ‘‘হাসপাতাল সুপারের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’
পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ খোদারাখার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে আব্দুল ছিল বড়। মৃত শিশুটির জেঠু মহম্মদ আল্লারাখা জানান, জ্বর তো ছিলই, মাঝেমধ্যে বমিও করছিল আব্দুল। তার হাত, পা, মাথায় ব্যথাও ছিল। শনিবার রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পর এক চিকিৎসক তার রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দেন। বিকেলে হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগ বন্ধ ছিল। হাসপাতাল চত্বরের বাইরের একটি ল্যাবরেটরি থেকে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। তবে রিপোর্টে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার উল্লেখ ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy