নির্দেশ: প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে মঞ্চে উপস্থিত ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মণ্ডল, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় বেড়ে চলা দুর্ঘটনার খতিয়ান জেনে মাসতিনেক আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে ফের একই প্রসঙ্গ তুললেন তিনি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি— এক মাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। তার মধ্যে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। জাতীয় সড়ক ছাড়াও মুরারই-রাজগ্রাম রাজ্য সড়কে তিন জন এবং মুরারই–রঘুনাথগঞ্জ রাজ্য সড়কে দুই মোটরবাইক আরোহী মৃত্যু হয়েছে। রামপুরহাট– পারুলিয়া রাজ্য সড়কেও দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা এবং গ্রামের ভিতরে যাওয়া রাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়। মাস তিনেকের ব্যবধানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ জন। পুলিশের অনুমান, এই পরিসংখ্যান থেকেই উদ্বেগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বীরভূমে খুব দুর্ঘটনা হয়। তারাপীঠ থেকে ফেরার পথে আমরা দেখেছি, এই রুটটায় খুব বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।’’ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করার জন্য ‘ব্ল্যাকস্পট’গুলি বেছে নিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরি করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ওয়াচ টাওয়ার, সিসি-ক্যামেরা বসানোরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার পুলিশ সুপার নীলকান্তম সুধীর কুমার তার প্রেক্ষিতে দাবি করেন, ২০১৬–২০১৭ বছরে দুর্ঘটনা কমেছে। তার রেশ টেনেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, আত্মতুষ্টির কোনও কারণ নেই। দুর্ঘটনা একেবারেই শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমি চাই দুর্ঘটনায় যাতে একটিও প্রাণ না যায় সেটা দেখতে হবে।’’
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি জেলায় ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত করেছি। ট্রান্সপোর্ট দফতরের সহযোগিতায় রাস্তায় স্পিড ড্রাম দিয়ে স্পিড চেকিং করছি। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী ‘সেভ ড্রাইভ, সেফ লাইফ’ কর্মসূচির আরও নিবিড় প্রচারের পরামর্শ দেন।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, সেই মতোই কাজ করা শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy