দু’দিন পরেই সিপিএমের ২২-তম জেলা সম্মেলন। রামপুরহাট শহরে তার প্রস্তুতি চলছে। মাসখানেক আগেই শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে লেখা হয়েছে সম্মেলনের কথা। শহরের ছ’টি জায়গায় তৈরি হয়েছে তোরণ। মঙ্গলবার থেকে শহর জুড়ে দলীয় পতাকা টাঙাতে শুরু করেছেন নেতা, কর্মীরা।
বীরভূম জেলা সম্মেলন ঘিরে এই প্রস্তুতির মধ্যেই মঙ্গলবার রামপুরহাটের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন দলের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা।
সবং বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান দখলের জেরে উজ্জীবিত সিপিএম জেলা কমিটি। সে কথা উল্লেখ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের হাতে পঞ্চায়েত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তিনি অভিযোগ করেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোলপুর, সিউড়ি মহকুমায় তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’ প্রার্থী দেওয়া যায়নি। এ বার সেই পরিস্থিতি হবে না। তাঁর অভিযোগ, এখন পঞ্চায়েতগুলিতে লুঠত-রাজ চলছে। জনগণ পঞ্চায়েতে যান না। সাধারণ মানুষের হাতে পঞ্চায়েতের তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জেলা সম্মেলনে আলোচনা হবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল যাতে প্রতিটি বুথে প্রার্থী দিতে পারে, তা নিয়েও মতবিনিময় করা হবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক দাবি করেন— বিজেপির মতো তৃণমূলও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে। রাজ্যে বিজেপি, আরএসএস-এর বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূলকেই তিনি দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘‘এক দিকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার রাজনীতি চলছে। চলছে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণও। এই দুয়ের সঙ্গে লড়াই করছে সিপিএম।’’
দলীয় সূত্রে খবর, জেলা সম্মেলন ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর রামপুরহাট ভাঁড়শালাপাড়া দিঘির ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। সেই সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম-সহ দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy