বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
মানুষের জীবনের সব ক’টি স্তরে রাজনীতির অনুপ্রবেশের জন্যই মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। এমনটাই মনে করেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়।
সোমবার সিউড়িতে বিশিষ্ট শিক্ষবিদ, সংস্কৃত পণ্ডিত, বর্ধমান, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রয়াত রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা দেওয়ার সময় এমন মতই পোষণ করেন তথাগত রায়। এ দিন বিকেল সিউড়ি লিজক্লাবের শতবার্ষিকী হলে রমারঞ্জন স্মারক বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ’। সেই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায় সেটাই শেখায় মূল্যবোধ। বিবেক তৈরি করে। আমি মনে করি জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে রাজনীতির অনুপ্রবেশের জন্যই মূল্যবোধের এমন অবক্ষয়। এখন ভাল-মন্দ বা ন্যায়-অন্যায় ঠিক হয় আমার রাজনৈতিক দল কোনটা ন্যায় বা অন্যায় ভাবল তার উপরে। মূল্যবোধ বজায় রাখার ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত ভয়াবহ। কোথায় রাজনীতি ঢোকেনি। হাঁস-মুরগি পালন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, সবেতেই।’’
নাম না করে রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি। তথাগতবাবুর সংযোজন, ‘‘এ রাজ্যে বেকার থিক থিক করছে। কারণ কর্মসংস্থান নেই। কেন কর্মসংস্থান নেই? তার কারণ, কারখানা গড়ে উঠেছে না।’’ রাজনীতির অনুপ্রবেশ রুখতে পঞ্চায়েত স্তরে প্রতিনিধিদের কোনও রাজনৈতিক দলের টিকিটে নির্বাচিত হওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তথাগত রায়। তাঁর মত, ‘‘রাজনীতি থাকবে বিধানসভায়, লোকসভায়। পঞ্চায়েতে কেন রাজনৈতিক দল প্রাধান্য পাবে। কাজ সকলে মিলে করবে। আমি আগে যে রাজনৈতিক দলে ছিলাম সেখানেও এই মত জানিয়েছিলাম। যেহেতু সব ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢুকেছে। তাই পঞ্চায়েতও বাদ থাকেনি।’’
সিউড়িতে ওই স্মারক বক্তৃতার আয়োজক রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের নাতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক রামকুমার মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল পরে সিউড়ি কালীবাড়িতে প্রণাম সেরে শান্তিনিকেতন ফিরে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy