ফাইল চিত্র।
এ বার ছ’দিনের পৌষমেলায় প্লট বুকিংয়ের নির্ধারিত টাকার উপর জিএসটি লাগু হওয়ায় আরও ৩ শতাংশ কর বাড়তে পারে। যদিও, এখনও পর্যন্ত প্লট বুকিংয়ের টাকা ঠিক করেননি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কনফারেন্স হলে পৌষমেলার আয়োজনের বাজেট সংক্রান্ত বিষয়ে মেলার উপ-কমিটিগুলির আহ্বায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর থেকে পৌষমেলার প্লট বুকিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে। স্টলের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছেও বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা পরিবেশ আদালতের নির্দেশে এ বার পৌষমেলার পর ভাঙা মেলা থাকছে না। পরিবর্তে ছ’দিনের পৌষমেলা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই মেলার বাজেটে পরিবর্তন হতে চলেছে। ছ’দিনের মেলা হওয়ায় সব ক্ষেত্রেই পরিষেবা কর বৃদ্ধি করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ।
এ দিন দুপুরে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অমিত হাজরা, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার, মেলার বিভিন্ন উপ-কমিটির আহ্বায়কেরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্লট বুকিয়ের কর ঠিক করা হয়নি। তবে বিদ্যুৎ কর, জল কর-সহ অন্যান্য খাতে কমবেশি বৃদ্ধি হতে পারে। স্টলের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বৈঠকে আলোচনা হয়। মনে করা হচ্ছে, স্টলের সংখ্যা বাড়লে প্লট বুকিংয়ের টাকা খুব বেশি বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। মেলার আয়োজনে সাহায্যকারী রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির কাছে বিশ্বভারতীর তরফে কর মুকুব অথবা তা কমানোর আর্জি জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর পৌষমেলার প্লট বুকিংয়ের মূল টাকার উপর ১৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় পরিষেবা কর নেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এ বার জিএসটি লাগু হওয়ায় কর হয়েছে ১৮ শতাংশ। স্বভাবতই, এ বার পৌষমেলায় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্লট বুকিংয়ের মূল টাকার উপর আরও তিন শতাংশ কর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত প্লট বুকিংয়ের টাকা ঠিক হয়নি। তবে দ্রুত তা নির্ধারণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে, ১০ ডিসেম্বর থেকে প্লট বুকিং শুরু হয়ে যাবে। তবে জিএসটি-র জন্য স্বাভাবিক ভাবেই কর ৩ শতাংশ বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy