Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দক্ষিণের কড়চা

বয়স অল্প। মাত্র চার বছর। কিন্তু তার মধ্যেই অভিনয় ও প্রযোজনায় নিত্যনতুন পরীক্ষার মাধ্যমে আসানসোলের এই দলটি নতুনত্বের পরিচয় দিচ্ছে। দলের নাম ‘আসানসোল চর্যাপদ’। দলের পরিচালক রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী। নাটক নিয়ে পড়াশোনা বিশ্বভারতী ও রবীন্দ্রভারতী থেকে।

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০০:১৯
Share: Save:

নাট্য-চর্যা

বয়স অল্প। মাত্র চার বছর। কিন্তু তার মধ্যেই অভিনয় ও প্রযোজনায় নিত্যনতুন পরীক্ষার মাধ্যমে আসানসোলের এই দলটি নতুনত্বের পরিচয় দিচ্ছে। দলের নাম ‘আসানসোল চর্যাপদ’। দলের পরিচালক রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী। নাটক নিয়ে পড়াশোনা বিশ্বভারতী ও রবীন্দ্রভারতী থেকে। বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ব্রেট্রোল্ট ব্রেখট ও এরউইন পেসকাটার সত্য ঘটনা, সামাজিক প্রসঙ্গকে মঞ্চে রূপ দিতে শুরু করেন। পরে ১৯৬০-এর দশকে জার্মানিতে তিন জন নাট্যকার ‘থিয়েটার অফ ফ্যাক্ট’ বা ডকুমেন্টারি থিয়েটার নামে শুরু করেন এক নাট্য-আন্দোলন। বাংলা নাট্য মঞ্চে এই আঙ্গিকের ব্যবহার বেশ কম। আসানসোলের দলটি এই ধারাটিকেই একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। আর তাই বোধহয় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এই দলটি প্রযোজনা করতে চেয়েছে ‘লজ্জা’ নাটকটি। সম্প্রতি তার অভিনয়ও হয়েছে আসানসোল ও শান্তিনিকেতনে।

‘আসানসোল চর্যাপদে’র প্রযোজনাগুলির আরও একটি বিশেষ আঙ্গিক ‘আবৃত্ত্যভিনয়।’ এই দলের সদস্যরা চেষ্টা করেন কবিতার কথাকেই নাট্য সংলাপের রূপ দিতে। এই আঙ্গিকে চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ প্রযোজনা, ‘দেবতার গ্রাস’। রবীন্দ্রনাথের কবিতাটি অপরিবর্তিত রেখেই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য মেলা, গঙ্গা যমুনা নাট্য উৎসব-সহ বিভিন্ন জায়গায়। নাট্যমঞ্চে আদিবাসী ও পাখমারাদের জীবনের ইতিবৃত্তকেও তুলে ধরতে চেয়েছে চর্যাপদের প্রযোজনা— ‘সাঁঝ সকালের মা।’ নাটকের বিষয় মহাশ্বেতা দেবীর লেখা মূল গল্প অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া শিল্পী জীবনের অস্থিরতা নিয়ে তৈরি ‘বিষছায়া’, পাঁচ জন নারীর জীবনের বিষাদ নিয়ে ‘অথঃ পঞ্চ কন্যা কথা’ প্রভৃতিরও প্রযোজনা নজর কেড়েছে দর্শকদের। নাটকের বিভিন্ন আঙ্গিকের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই ‘ট্রিবিউট টু...’, ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’র মতো বেশ কয়েকটি নৃত্যনাট্যও প্রযোজনা করেছে আসানসোলের এই দলটি।

কলকাতা, মালদা, হাওড়া, বহরমপুর-সহ বিভিন্ন জায়গাতেই নাটক নিয়ে ছুটে যান রুদ্রপ্রসাদবাবু। নিষ্ঠাবান নাট্যকর্মীর মতো রুদ্রপ্রসাদবাবুও বিশ্বাস করেন নাট্য-শিক্ষায়। তাই বোধহয় নিয়মিত ভাবে দলটি নাটকের কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করে চলছে। বর্তমানে দলের সদস্য সংখ্যা ত্রিশ। চর্যাপদের তত্ত্বাবধানে ‘নাটক শিখতে’ আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল তো বটেই, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মধুপুর, দেওঘর থেকেও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসছেন। নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হয় ‘এবং নাটক’ নামে একটি পত্রিকাও।

‘আনন্দন’ ৩৮শে পা

মফস্‌সলের একটি নাটকের দলের ৩৭টি বছর পার করা কম কথা নয়। সেটাই করে দেখাল ঝাড়গ্রামের ‘আনন্দন’। সংস্থার ৩৮ তম বর্ষের সূচনা উপলক্ষে অরণ্যশহরের বলাকা মঞ্চে শিশু-কিশোর নাট্যোত্সবের আয়োজন করা হল। উত্সবে ঝাড়গ্রাম শহর ও আশেপাশের গ্রামের সেই সব নাটকের দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যারা শিশু-কিশোরদের নিয়ে নাটক করে। সমকালীন সমস্যা থেকে কৈশোরের ইচ্ছেপূরণ। এমনই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নাটক পরিবেশন করল ছোটরা। ঢোলকাট পুকুরিয়া প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়ারা মঞ্চস্থ করল নাটক ‘শুদ্ধমাটির টানে’। নাটকটির বিষয়বস্তু, প্রোমোটোরের দৌরাত্ম্যে স্কুলের মাঠ দখল হওয়া আটকাতে এক প্রধান শিক্ষিকার লড়াই। এর পর এসো নাটক করি সংস্থার কিশোর-কিশোরীদের অভিনীত ‘স্বপ্নের বাস্তব’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকটিতে অলৌকিক বলে ছোটরা বড় হয়ে যায়। কিন্তু বড়দের যুদ্ধ-খেলায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে ছোটরা ছোট হয়েই থাকতে চায়। সবশেষে কথাকৃতি নাটকের দলটির প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় ড্রাগ বিরোধী নাটক ‘আলোয় ফেরা’। ‘আনন্দন’-এর সম্পাদক সঞ্জীব সরকারের কথায়, “বড়রা তো সারা বছর নিজেদের নাটক করি। কিন্তু ছোটরাও যে ভাল অভিনয় করছে, সবাইকে জানানো প্রয়োজন। ওদের উত্সাহ দেওয়া জরুরি। স্বপ্ন দেখি, জঙ্গলমহলের গাঁ-গঞ্জের শিশু- কিশোর অভিনেতাদের কেউ হয়তো ভবিষ্যতের শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠবে। পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহর্মিতার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।”

শিকড়-সন্ধানী

দেশ বিদেশের ইতিহাস তো লেখা থাকে পাঠ্যবইতে। কিন্তু এলাকার ইতিহাস? সেই কথাই বলে চলেছেন জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃণালকান্তি ভট্টাচার্য। বয়স আশি পেরিয়েছে। তাতে কী? শিকড়ের টানে এখনও তিনি ঘুরে বেরান জয়নগরের আনাচে কানাচে। এই অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে জয়নগরের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছেন। জয়নগরের ভূমিপুত্র শিবনাথ শাস্ত্রী থেকে শুরু করে শহিদ কানাইলাল ভট্টাচার্যের মতো অনেকের জীবনের নানা অজানা তথ্য রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সেগুলি জুড়ে জুড়ে লিখে ফেলেছেন অগুনতি প্রবন্ধ। যার কয়েকটি বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বই এবং ম্যাগাজিনে। কিছু এখনও অপ্রকাশিত রয়ে গিয়েছে। তবে শুধু আঞ্চলিক ইতিহাসের খোঁজ করাই নয়, ছড়া ও কবিতাতে দিব্যি সচ্ছল মৃণালবাবু। যুক্ত রয়েছেন পেনশনভোগীদের সংগঠনের সঙ্গে। তাদের মুখপত্রেও নিয়মিত লেখালেখি করেন। তাঁর কথায়, ‘‘জয়নগর-মজিলপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বহু গুণী মানুষের জন্মভিটে রয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে প্রায় সব ক’টিই ভগ্নপ্রায়। লেখার মাধ্যমে সেই কথাই জানাতে চাই প্রশাসনকে।’’

মঞ্চে রবি

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন সানাই কাব্যগ্রন্থ। তার আগে তিনি এঁকেছিলেন আগুনের হলকার মধ্যে দু’হাত তুলে ধরা এক নারীর ছবি। সানাইয়ের কবিতাগুচ্ছের সঙ্গে ওই ছবির অদ্ভুত যোগসূত্র অনুভব করেছিলেন কবি ও রবীন্দ্র গবেষক শঙ্খ ঘোষ। ১৯৮৩‌ সালে তাঁর উপস্থাপনাতেই প্রকাশ পেয়েছিল ‘একটি রক্তিম মরীচিকা’। সেই রেকর্ডে শঙ্খবাবু ছাড়াও পাঠ করেছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। গান গেয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। শঙ্খবাবুর মতে, সানাই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ যেন অবয়বহীন প্রণয়ের মরীচিকাকে ধরতে চেয়েছেন। ‘একটি রক্তিম মরীচিকা’ এ বার মঞ্চস্থ করতে চলেছে আজকের ব্যারাকপুর রবিরঞ্জিনী। যার ভূমিকা তৈরি করেছেন শঙ্খবাবু নিজেই। আগামী ২৫ অগস্ট ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। পাঠ ও গানে রবিরঞ্জিনীর শিল্পীরা।

কবিতা আলোচনা

রবিবার কবিতার বই নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা সভা হল নন্দীগ্রামে৷ নন্দীগ্রাম সাহিত্য সংসদ ও আন্ডার গ্রাউন্ড সাহিত্য কোলাঘাট চ্যাপ্টারের যৌথ উদ্যোগে এই সভায় কবিতা অনুরাগী বেশ কিছু মানুষজন অংশ নেয়। টেঙ্গুয়ার ‘সন্তোষ ভিলা’ সভা কক্ষে তিন জন কবির তিনটি কাব্যগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন জেলার বিশিষ্ট তিন কবি ও সমালোচক। অধ্যাপক বিশ্বজিৎ মাইতির লেখা ‘প্রোল্যাকটিন হরমোন’ কাব্যগ্রন্থের আলোচনা করেন তাপস বৈদ্য, রাজকুমার আচার্যর ‘এই হৃদয়ে হাত রেখে’ র আলোচক ছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য এবং স্বপনকুমার প্রামাণিক। ‘তোমাকেই’ গ্রন্থের আলোচনা করেন দেবাশিস মণ্ডল৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নির্বাচিত ২০ জন কবি কবিতা পাঠ করেন৷ প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় বর্ষাকালীন কবিতার আড্ডায় দর্শক আসনও ভরাট ছিল। নন্দীগ্রাম সাহিত্য সংসদের সহ-সম্পাদক দেবাশিস মণ্ডল বলেন,‘‘ নন্দীগ্রামে সাহিত্যের ক্ষেত্র সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন প্রয়াস নেয় আমাদের সংগঠন।’’

কবি স্মরণ

‘মৃত্যুর অমৃত পাত্রে’ যা কিছু রয়ে গিয়েছে, তার অনেকটা জুড়েই রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। সেই মৃত্যুভাবনাকে বিষয় করেই ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্র-স্মরণের আয়োজন করেছিল কাকদ্বীপের নোনা থিয়েটার। পরিবেশিত হয় ‘রক্তকরবী’র শ্রুতিনাটক। এছাড়া ছিল গান। অনুষ্ঠানটি হয় কাকদ্বীপ কমিউনিটি হলে। আয়োজক নাট্যগোষ্ঠীর পরিচালক দেবাশিস মান্না জানান, যে গানগুলি পরিবেশন করা হয় তার মূল ভাবনা হল মৃত্যু। মনোজ্ঞ ওই অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় কাকদ্বীপের কবি ইন্দ্রনীল দাসের কবিতার বই ‘উঠোন ঘিরে বৃষ্টি’।

সাহিত্য সভা

বনগাঁর ‘আমি জেগে আছি’ সাহিত্য পত্রিকার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি বনগাঁ পাবলিক লাইব্রেরির পাঠকক্ষে হয়ে গেল একটি সাহিত্যসভা। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘একটা পৃথিবী-তার নাম মা।’ পত্রিকার সম্পাদক বিকু আচার্য জানিয়েছেন, প্রতি বছরই এই সাহিত্য সভা আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা, গান, আলোচনা। পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংকল্প বসু, সুনীপা পাঠক, শ্রাবণী মণ্ডল-সহ অনেকে। উপস্থিত ছিলেন কবি শ্যামলকান্তি দাশ, কৃষ্ণা বসু প্রমুখ।

কবিয়ালি-শিক্ষা

কেষ্টা মুচি, রঘুনাথ দাস, হরু ঠাকুর, রাম বসু, ভোলা ময়রা, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি— বাংলার কবিগানের ইতিহাসের সঙ্গে এই নামগুলির স্থান বিশিষ্ট। বাংলায় ‘কবিয়ালি’র ইতিহাস সন্ধান করতে গিয়ে অধ্যাপক সুশীলকুমার দে দেখিয়েছিলেন, সপ্তদশ শতকেও বাংলায় কবিগানের অস্তিত্ব ছিল। সেই কবিগানই কী ভাবে ‘লোকশিক্ষা’র বাহন হয়ে উঠতে পারে, তা একুশ শতকে দাঁড়িয়েও কেতুগ্রামের আমগড়িয়া গ্রামের কবিয়াল সনৎ বিশ্বাসকে দেখলে বোঝা যায়। কবিগান আর আলকাপের মাধ্যমে তিনি গ্রাম-বাংলায় বলে চলেন সচেতনতার কথা। শুরুটা অবশ্য এমন ছিল না। ১৯৭১ সাল। উত্তাল রাজনৈতিক সময়ে সনৎবাবু ভর্তি হলেন কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে। কিন্তু মন টেকে না। কলেজে এক দিন ছাত্র সংঘর্ষ হল। সনৎবাবু ঠিক করলেন আর নয়। ফিরে গেলেন গ্রামে। বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সুধী প্রধান ও মালিনী ভট্টাচার্যের পরামর্শে ঠিক করলেন বাংলার নিজস্ব সুরেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। ছুটে গেলেন খাজুরডিহির মধুসূদন ঘোষালের কাছে। তালিম নিতে আলকাপ আর কবিগানের। তালিম শেষ। ধীরে ধীরে তৈরি করে ফেললেন নিজের দল। সুর, ভাষায় পুরনো বাংলার গন্ধ সনৎবাবুর গানে। কিন্তু বিষয় চয়নে কখনও তাঁর কণ্ঠ নারী পাচার, বধূ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলে। কখনও বা বাল্যবিবাহ রোখার গান শোনাতে প্রত্যন্ত এলাকাতেও পৌঁছে গিয়েছে সনৎবাবুর দল। গানে গানেই তিনি বার্তা দেন, ‘‘রোগকে ঘৃণা করব/ রোগীকে নয়।’’ শ্রোতার তালিকাও নজরকাড়া— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কবীর সুমন থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কে নেই! ৬৪-র কোঠায় দাঁড়িয়েও সনৎবাবু অক্লান্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনশোরও বেশি অনুষ্ঠান করেছেন। সম্প্রতি তিনি সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন সম্মান। পুরস্কারের টাকায় সনৎবাবুর এখন একটাই পরিকল্পনা, গ্রামে কবিগানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE