শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে আলু, পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রি এখনও বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজারে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আলু, পেয়াঁজ, রসুন ঠিক মতো সরবরাহ না হওয়াতেই বিক্রি বন্ধ রয়েছে। রবিবার সংবাদিক বৈঠক করে ওই সাফাই তাঁরা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা কারবার বন্ধ করেননি। আলু, পেঁয়াজ ও রসুন সরবরাহ ঠিক মতো নেই। গত ১৫ অক্টোবর থেকেই শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে আলু-পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি বন্ধ রয়েছে। দাবি মতো মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তা নিয়েই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। শ্রমিকদের একাংশের বক্তব্য, তার জেরেই দোকানে আলু, পেয়াজ, রসুন আনছেন না ব্যবসায়ীরা। অথচ মুখে বলছেন সরবরাহ ঠিক নেই। শ্রমিকদের সঙ্গে তারা অসহযোগিতা করছেন।
পটাটো অ্যান্ড ওনিয়ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাম অবতার প্রসাদ বলেন, “আমাদের এখানে আলু, পেঁয়াজ, রসুন আসছে না। আমরা দোকান খুলে রেখেছি। আলু-পেঁয়াজ এলেই বিক্রি করব।” সংগঠনের সভাপতি গোপাল প্রসাদ জানান, তাঁরা বারবার বলা সত্বেও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মজুরি বৃদ্ধির দাবি পেশ করা হয়নি। ফলে তা বাড়াতে পারেননি তাঁরা। এখন দোষারোপ করা হচ্ছে। আইএনটিটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষের কথায়, ব্যবসায়ীরা মিথ্যা কথা বলছেন। শ্রমিকদের প্রতারণা করছেন। তিনি বলেন, “দু’মাস আগেই মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে একটি তালিকা ঠিক করা হয়েছিল। সে জন্যই নতুন করে দাবির বিষয়টি জানানোর প্রশ্নই ওঠে না।”
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধানের উপরে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “দ্রুত দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। কী সমস্যা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।” শিলিগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমপ্রকাশ অগ্রবাল অবশ্য ব্যবসায়ীদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “শ্রমিকরা পরিষ্কার করে দাবি না জানানোর কারণেই সমস্যা হয়েছে। দ্রুত আলোচনা করা প্রয়োজন। অচলাবস্থা কাটলে সকলের জন্যই তা ভাল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy