ফাইল চিত্র।
চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ‘এনজেপি কাণ্ডে’ রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে রেল। যদিও, দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের পরপর দু’টি চিঠি রেলের অন্দরের সমন্বয় নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনে রাতভর অপেক্ষা করেও ফেরার ট্রেন না পেয়ে পরীক্ষার্থীদের একাংশ গত রবিবার অবরোধ এবং যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়। সকাল থেকে শুরু হয় গোলমাল। রেল লাইনের উপরে টায়ার নিয়ে এসে আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরাট বাহিনীও অবস্থা সহজে আয়ত্তে আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হয়। বেলা ১১টা নাগাদ সেই ট্রেন যাওয়ার পরে এনজেপি স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে রেল জানায়, হাজার-হাজার পরীক্ষার্থী ভিন রাজ্য থেকে পরীক্ষা দিতে আসবে এবং ফিরে যাবে, সেই কথা রেলকে আগেভাগে জানানো হয়নি। বুধবার দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে দু’টি চিঠি দেখিয়ে দাবি করা হয়েছে—একবার নয় দু’বার চিঠি দিয়ে রেলকে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার সহ ছ’টি বিভাগের প্রধানকে চিঠি পাঠিয়েছিল প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সেই তথ্য ডিভিশন থেকে সংশ্লিষ্ট স্টেশনকে জানানো হয়নি? বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী বিভিন্ন স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবে জেনেও কেন আগে থেকেই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হল না?
রেলের তরফে বিস্তারিত মন্তব্য করা হয়নি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগের ডিআরএম সি পি গুপ্তা বলেন, ‘‘রাজ্যের চিঠি পেয়েছিলাম। চিঠিতে শুধু নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছিল। বিশেষ ট্রেনের কথা বলা হয়নি।’’
রেলের দাবিকে নেহাতই ‘দায়সারা’ বলে দাবি করা হয়েছে। রেলকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপি ইতিমধ্যে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন নবান্নে পাঠিয়ে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে প্রথম চিঠি পাঠানো হয়েছিল গত ২ মে। ৩৮৪/জেনারেল (এক্সাস) মেমো নম্বরে একটি চিঠি একাধিক সংস্থা এবং সরকারি দফতরে পাঠানো হয়েছিল। ওই চিঠিতে রেলকে পরীক্ষার দিন যথাযথ ভাবে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করতে আর্জি জানানো হয়। দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হয়েছিল গত ১৫ মে। ৩৯৭/এক্সাম মেমো নম্বরের চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার, রঙ্গিয়া, লামডিং, তিনসুকিয়া এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএমকে এই চিঠিতে জানানো হয়, জেলায় মোট ৭১ হাজার ২১৮ জন পরীক্ষা দিতে আসবেন তার মধ্যে ভিন রাজ্য থেরে প্রায় ৪৫ হাজার পরীক্ষার্থী আসবেন। সে কারণে সকাল এবং বিকেল পর্যন্ত পর্যাপ্ত ট্রেন চালানোর অনুরোধ জানানো হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা জেনেই রেলের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল বলে দাবি প্রশাসনের আধিকারিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy