Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরের চিঠি

রবীন্দ্রসদনে মোবাইল কাণ্ড

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ০২:১৩
Share: Save:

রবীন্দ্রসদনে মোবাইল কাণ্ড

আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত (১৩ ফেব্রুয়ারি) ‘বাজল নেতার ফোন, থমকাল ব্রাত্যজনের নাটক’ সংবাদটি বিশেষ করে কোচবিহারবাসী নাট্যপ্রেমীদের সতর্কতা ও সচেতনতা বাড়ানোর পক্ষে যথাযথ। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নির্দেশিত ও ‘ব্রাত্যজন’ প্রযোজিত ‘রুদ্ধসঙ্গীত’ নাটকটি দেখার জন্য কোচবিহার রবীন্দ্রসদনে সেই সন্ধ্যায় আমি, এই প্রবীণ নাগরিকটিও দর্শকাসনে উপবিষ্ট ছিলাম। ‘মোবাইল কাণ্ড’ ঘটনাটি খুবই লজ্জাকর ও দুর্ভাগ্যজনক। ভুল হতেই পারে, কম বেশি কোনও না কোনও ভুল সবারই হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে দুঃখের বিষয় যে সত্য ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলাটা এক জন সম্মাননীয় দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধির কাছে বাঞ্ছনীয় নয়। ভুল, ভুলই। সচেতন ভাবে ভুলকে অস্বীকার করা কিংবা ভুলকে ঢাকার অপচেষ্টা করা তো মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া। জটিলতা বৃদ্ধি করা। তাই মনে হয়, সহজ ভাবে ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করা সত্‌ সাহস ও স্বচ্ছ ব্যক্তিত্বের পরিচয় বলে মনে করি আর এতে সম্মান বাড়ে বই কমে না।

রামনাথ মজুমদার। কলাবাগান, কোচবিহার

মেখলিগঞ্জের দুরবস্থা

পশ্চিমবঙ্গের জনগণনায় মেখলিগঞ্জ মহকুমার জনসংখ্যাও ধরা হয়। কিন্তু কোনও কর্মসংস্থান নেই এখানে। যদি প্রশ্ন করা হয় বর্তমান বিধায়ককে ৩৪ বছরের বাম রাজত্বে কী উপহার দিয়েছেন বেকার যুবক ও যুবতীদের? বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় থেকে কত জন ছাত্রছাত্রী এসএসসি-র মাধ্যমে তাদের বিদ্যালয়েই শিক্ষকতারও দায়িত্ব নিতে পেরেছেন? মহকুমা হাসপাতালের যা পরিস্থিতি, তাতে কি ভাল চিকিত্‌সক এনে দিতে পেরেছেন? জেলা প্রশাসনের অন্তর্গত কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মেখলিগঞ্জ মহকুমার জন্য কোনও কোটা বরাদ্দ করেছেন কি?

ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দফতরে, সার-রেজিস্ট্রার দফতরে, মহকুমা শাসকের দফতরে, মহকুমা জজ ও দায়রা আাদলতের সমস্ত করণিক পদে কোচবিহারের অন্য মহকুমা থেকে ধার করে নিয়ে চালানো হচ্ছে। এমন লজ্জা আর কোনও মহকুমার ক্ষেত্রে হয়নি।তামাক, পাটের ব্যবসা লাটে ওঠার মতো, চাষিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এই মহকুমায় সরকারি বিদ্যালয় তো নেই-ই, (যে সমস্ত অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয় রয়েছে সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সমস্ত অন্য জেলা ও মহকুমা থেকে শিক্ষকতা করতে এসেছেন। মহাবিদ্যালয় ও সরকারি হাসপাতালেরও ওই একই চিত্র। সবই চুক্তি ভিত্তিক চাকরি দ্বারা নিয়োগ অর্থাত্‌ অনিশ্চিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহণের বেহাল দশা যেন মনে করিয়ে দেয় সভ্যতার পরিবর্তন সদ্য হল। হাটে-বাজারে, দোকানে বেকার যুবকদের পেটে-ভাতে বেঁচে থাকার লড়াই। শুধু দোকান দিয়ে পুঁজি খাটিয়ে লাভ কী যদি বিক্রিবাটা না হয়? হলদিবাড়ি ও ধাপড়ার উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের।

অতএব বর্তমান বিধায়কের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনি বেকার যুবকদের নিশ্চিত ব্যবস্থা করুন। তা না হলে আগামী একশো বছরে মেখলিগঞ্জ মহকুমার হাল এর থেকে আরও খারাপ হতে যাচ্ছে।

রাজু সরখেল। মেখলিগঞ্জ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

uttar letter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE