পুনর্ভবা নদী।—নিজস্ব চিত্র।
পুনর্ভবার সঙ্কট সকলের সমস্যা
ঐতিহ্যমণ্ডিত পুনর্ভবা নদী। যে নদীর তীরে ‘বাণগড়’-এর মতো ইতিহাস প্রসিদ্ধ নগরী এখনও জ্বলন্ত বাস্তব। সেই পুনর্ভবা নদীতে জল নেই এবং এই করুণ চিত্র বেশ কয়েক বছরের। ঠাকুরগা (বাংলাদেশ)-এর লোল্যান্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করা এই ১৬০ কিমির নদীতে বর্ষার সময় ছাড়া অন্য সময় এক ফোঁটা জল থাকে না বললে অত্যুক্তি হয় না। তাই নদীর জলকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকাজ বা মৎস্যচাষ— সবই এখন ভিন্ন গ্রহের বিষয়। যে নদী প্রায় ৩-৯ কিমি বিস্তৃত ছিল একসময়, যার গভীরতা ৬-৭ ফুট ছিল, তা এখন কত তে ঠেকেছে? প্রশ্নটা অনেক দিন আগেই করা উচিত ছিল জেলার মানুষদের। দিনের পর দিন জল নেই দেখেও, নদীর বুকে চর গজিয়ে ওঠা দেখেও, সেই চরে রীতিমতো চাষবাস, কীটনাশক দূষণ, নদীয়ালি মাছের হারিয়ে যাওয়া দেখেও মৌনতাকেই আশ্রয় করে নিয়েছি আমরা। কখনও আফসোস, কখনও একটু হতাশা, কখনও বা চায়ের কাপে তুফান পুনর্ভবার ভবিষ্যৎ নিয়ে— ব্যস এইটকুই।
তবে এটুকু জেনে রাখা ভাল পুনভর্বা নদীর সমস্যাটিও আন্তর্জাতিক। হ্যাঁ, এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ পুনর্ভবার জলকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। যার প্রভাব পড়েছে পুনর্ভবা নদীতে। আত্রেয়ী নদীর ক্ষেত্রে যে ভাবে সরাসরি বাধা দেওয়া হয়েছে, পুনর্ভবার ক্ষেত্রে সে ভাবে বাধা দেওয়া হয়নি। গঙ্গারামপুরের প্রায় ৫৫ কিমি উত্তের ঢাকা-দিনাজপুর রোডে বীরগঞ্জের কাছে একটি লকগেট/স্লুইস গেট করে রীতিমতো সেই নদীর জলকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা পুনর্ভবাকে পুষ্ট করত। হ্যাঁ, ঢেপা নদী (দীপাও বলা হয় কোথাও কোথাও) পুনর্ভবাকে পুষ্ট করত। এমনিতে উপগ্রহ চিত্র বলছে পুনর্ভবা নদীতে জলের পরিমাণ একদমই কম। বাংলাদেশের দিকে নদীটি ক্রমশ ক্ষীণকায়া হয়ে পড়ছে। সাধারণ বুদ্ধি বলে তাই পুনর্ভবা নদী নিয়ে বাংলাদেশ তেমন ভাবছে না বা ভাবলেও সেটি অভ্যন্তরীন নদী পরিকল্পনাতেই বাস্তবায়িত হতে পারে। কিন্তু ভারতের পুনর্ভবাকে যে নদীটির জল পুষ্ট করছে তার অন্তিম ভাগে যদি তার জলকে প্রয়োজন মতো নিয়ন্ত্রণ করা য়ায়, তাহলে বাংলাদেশ সেই জলকে নিজেদের মতোই ব্যবহার করতে পারবে।
আত্রেয়ী নদীর ক্ষেত্রে যে ভাবে দিশারী সংকল্পই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে আত্রেয়ী বাঁচাও আন্দোলনের সূচনা করেছিল, পুনর্ভবার ক্ষেত্রেও নানান উদ্যোগ নেওয়া হবে। পুনর্ভবা অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ ভীষণ জরুরি। তবে সকলের সহযোগিতাতেই পুনর্ভবাকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। নদীর সঙ্গে জীবন ও উন্নয়ন যুক্ত, তাই একে কোনও মতেই ‘মৃত’ হতে দেওয়া যায় না। গত এক মাস ধরে পুনর্ভবা নদীকে বাঁচানোর সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছি। যোগাযোগের চেষ্টা শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রিভার নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে। আত্রেয়ী এবং অন্যান্য নদীগুলি নিয়ে আমরা ভীষণ চিন্তিত। প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দফতরের সহযোগিতা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। আমরা তো আছি।
তুহিনশুভ্র মণ্ডল। বেলতলাপার্ক, বালুরঘাট
কেন সব সময় ব্রাত্য হলদিবাড়ি
হলদিবাড়ি কোচবিহার জেলায় অবস্থিত কিন্তু এই শহর সংলগ্ন জেলা জলপাইগুড়ি। অফিস আদালত পোস্টঅফিস কোচবিহারে অবস্থিত এবং হলদিবাড়ি শহর থেকে তার দূরত্ব ২০০ কিমি। সেখানে গিয়ে কাজ করাতে হলদিবাড়ির শহরবাসীদের খরচও পড়ে অনেক এবং সময়ও লাগে প্রচুর। এটা সকলের পক্ষে সম্ভবও হয় না। অথচ কাছেই জলপাইগুড়ি জেলা। কোনও সরকারই এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত কিছু চিন্তা করেনি। অথচ হলদিবাড়ি কৃষি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানকার ফসল সারা দেশে বিক্রি হয়। শিক্ষা সংস্কৃতিতেও শহরটি উন্নত। অথচ হলদিবাড়ি জংশন থেকে কোনও দূরপাল্লার ট্রেন নেই। প্রশাসনিক সুবিধা, রেলের পরিষেবা থেকে চির বঞ্চিত হলদিবাড়িবাসীরা। ছাত্র শিক্ষক কৃষক সকলকেই কাজের জন্য যেতে সেই দূরে কোচবিহার শহরে। জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার বাদ যাওয়ায় জেলাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে হলদিবাড়ি যদি জলপাইগুড়ির সঙ্গে যুক্ত হয় তবে জলপাইগুড়িরও উন্নতি হতে পারে এবং হলদিবাড়িবাসীরা দীর্ঘ দিনের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে পারে। হলদিবাড়ি বাংলাদেশের দ্বার। বর্তমানে গদুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। দুই বাংলার প্রাচীন শহর হলদিবাড়ি। অতএব জলপাইগুড়ির সঙ্গে হলদিবাড়িকে যুক্ত করা হলে উভয় অঞ্চলেরই উন্নতি হতে পারে। হলদিবাড়ির শহরবাসীরা দীর্ঘ দিনের ব়ঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তাই আমাদের আবেদন হলদিবাড়িকে জলপাইগুড়ির সঙ্গে যুক্ত করা হোক।
নূপুর বন্দ্যোপাধ্যায়। হাকিমপাড়া, জলপাইগুড়ি
এ বাংলার ক্রিকেটাররা কোথায়?
ক্রিকেট আঙিনায় বাংলাদেশ এখন আর উপেক্ষনীয় নয়। অনেকের মতোই বাংলাদেশ এখন সাবালক এবং এশিয়ার চতুর্থ ক্রিকেট শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। গত বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তার পর গত কয়েক মাসে একদিনের ক্রিকেটে পাকিস্তান, ভারত ও দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের পরিচায়ক। এটি কখনও ‘ফ্লুক’ হতে পারে না। বাংলাদেশের এই বীরগাথায় জাতীয় স্তরে বাঙালি খুবই গর্বিত।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই বাংলার ক্রিকেটের আদৌ কোনও উন্নতি হয়নি। অবাক লাগে সৌরভের পর তেমন ভাবে কেউ উঠে আসেনি আজও। রনজি ট্রফির দৌড়েও কেমন শোচনীয় ব্যর্থতা। অথচ যাত্রা একই কিন্তু ফল কত পৃথক! তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যে জেদ ইচ্ছাশক্তি পরিশ্রমের তাগিদ দেখা যায় তা কি এই বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে নেই?
প্রসঙ্গত, এ বার বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জার্সিতে বাংলায় লেখা ‘লোগো’, চমক ছিল বই কী। জয়তু ক্রিকেট।
চন্দন নাগ। শিলিগুড়ি
পশু-পাখি নিধন বন্ধ করা চাই
রায়গঞ্জে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে পশু-পাখি নিধন করে তাদের মাংস বিক্রি হয়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হয়, তেমনই দৃশ্য-দূষণও হয়। কোমল মনের মানুষদের বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের মনের উপর চাপ বাড়ে। প্রতিদিনই শিলিগুড়ির মোড়ে এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠতে হয়। রায়গ়ঞ্জ পুরসভা অনেক দিন আগে এর বিরুদ্ধে আইন জারি করলেও এখনও কড়াকড়ির অভাবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে প্রাণী-হত্যা চলছে রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জ পুরসভা অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাধিত হব।
সামিম আখতার বানু। সোনাবাড়ি, রায়গঞ্জ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy