Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
এ তো বাংলার লজ্জা

উত্তরের চিঠি

গত ২৫/১০/১৫-তে যে যন্ত্রণাদায়ক বিসর্জন পর্ব সম্পাদিত হল তার করুণ দিকটি আপনাদের পত্রিকার মাধ্যমে মালদা জেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিকারের আশায় নিবেদন করি, যদি কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ হয়!

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৩২
Share: Save:

যন্ত্রণাদায়ক বিসর্জন পর্ব

গত ২৫/১০/১৫-তে যে যন্ত্রণাদায়ক বিসর্জন পর্ব সম্পাদিত হল তার করুণ দিকটি আপনাদের পত্রিকার মাধ্যমে মালদা জেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিকারের আশায় নিবেদন করি, যদি কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ হয়!

ওই দিনটি ছিল নির্ধারিত শেষ ভাসান দিন। দিনমান এমনকী সন্ধ্যা পর্যন্ত তবুও প্রায় ঠিকই ছিল। একটু রাত বাড়তেই শুরু হল শব্দাসুরের উপদ্রব। হাজার হাজার ওয়াটের ডেসিবলের অস্ত্রবর্ষণের মাধ্যমে ‘ডিজে’ মিছিল, নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। মূল সড়ক থেকে ৫০ মিটার দূরে, বেশ কয়েকটা বাড়ি ঘরের আড়ালে থেকেও মনে হচ্ছিল, ‘‘হৃদয় আমার নাচেরে’’। ফল প্রবল হৃদকম্প, মাথার যন্ত্রণা, বমিবমি ভাব। মনে হচ্ছিল আমার হৃদযন্ত্র আজই জবাব দেবে। আশেপাশের সমস্ত কিছুই থরহরি কম্পমান, দরজা-জানালা এঁটেও নিস্তার নেই। কচি শিশুদের সামলাতে মায়েদের কী কষ্টকর প্রচেষ্টা। হায় রে, আমার আনন্দের সীমা নেই, তাই আমি উন্মত্ত বেপরোয়া হয়ে অন্যের মানসিক নিপীড়নের ক্ষমতা রাখি।

কোথাকার কোন ‘দূষণ’, ‘মানবাধিকার কমিশন’। তারা বোধহয় ভগবতীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আর অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিদায় নিয়েছে অথবা ছোট ভাইদের ততধিক ছোট দুষ্টমি মনে করে পুলিশকুল বধির হয়ে পড়েছে। অধমের এমনই দুর্দশা যে শেষতম ‘ডিজে’ বিদায়ের পরও মনে হচ্ছিল য়েন পৃথিবী কেঁপেই চলেছে ‘আফটার শক’ আর কী।

প্রশাসন আগামী বিসর্জনগুলিতে (বা বিবাহ শোভাযাত্রাতেও) কি এই রোগী শিশুদের রক্ষার্থে তথা শব্দ নিয়ন্ত্রনার্থে উৎকট ‘ডিজে’ প্রভৃতি শব্দদানবগুলিকে বিদায় দিতে ইচ্ছুক?

অরিন্দম ভট্টাচার্য। মালদা

রায়গঞ্জে টোটো বাড়ছে

টোটো পরিবেশবান্ধব যান হলেও রায়গঞ্জে এর সংখ্যাধিক্যে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পুরসভার নতুন করে আর টোটোর লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়। লাইসেন্সবিহীন টোটোর বিরুদ্ধে অভিযানও খুব জরুরি। তা ছাড়া টোটো এবং রিকশার সংখ্যায় সামঞ্জস্য না থাকায় গরিব রিকশাওয়ালারা যে না খেতে পেয়ে মরতে বসেছেন, তাদের কথা ভাবারও কেউ নেই।

সামিম আখতার বানু। রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

হাসপাতালে পলি ক্লিনিক চালু হোক

জলপাইগুড়িতে ডাক্তারের সমস্যা রয়েছে। বিপদের সময় ডাক্তার পাওয়া যায় না। হাসপাতাল প্রায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জন্য পূর্বে কলকাতার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জলপাইগুড়ি হাসপাতালে আসতেন। বর্তমানে যারা আছেন তাদের দ্বারা বড় হাসপাতালটি চলছে কিন্তু এত ভিড়ে অনেক বয়স্ক মহিলা রোগী চিকিৎসা করাতে পারে না। পূর্বে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পলি ক্লিনিক ছিল। প্রতিদিন একজন করে নতুন ডাক্তার রোগী দেখতেন স্বল্প সময়ে। ওই লো কস্ট পলি ক্লিনিক জলপাইগুড়িবাসীদের খুবই উপকার হবে। ফিজিসিয়ান, সার্জেন, ইএনটি, গাইনোকোলজি কিছু রোগ চিকিৎসক ইত্যাদি ডাক্তাররা একেক দিন এক জন করে ডাক্তার পলিক্লিনিকে দেখলে রোগীদের উপকারও হয়। ডাক্তারবাবু হাসপাতাল ছাড়াও প্র্যাক্টিস করতে পারেন। সেটা যদি হাসপাতাল কেন্দ্রিক হয় তবে জনসাধারণ উপকৃত হবেন। এই হাসপাতালে পলিক্লিনিকে কম খরচে রোগী দেখাতে পারবেন তাঁরা। হাসপাতালের বাইরে ডাক্তার দেখানো ব্যয় সাপেক্ষ। গরিব লোকদের পক্ষে সম্ভব নয় অখচ রোগ তো গরিব বড়লোক দেখে আসে না। সরকার কম খরচে ওষুধের দোকান খুলেছে। এখনই পলিক্লিনিক জলপাইগুড়ি হাসপাতালে খুললে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি হবে।

তিমির বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি

এটি এম-এর নিরাপত্তা

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে ব্যাঙ্কগুলোর এটিএমগুলো যে সমস্ত গ্রাহকদের কাছেই অপরিহার্য তা কিন্তু আমাদের স্বীকার করে নিতেই হবে। বিশেষ করে এই এটিএমগুলো দিনে ও রাতে পরিষেবা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কের গ্রাহকদেরও এই পরিষেবা নিতে কোনও সমস্যারই মধ্যে পড়তে না হয়, তা হলেই ভাল। গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে রাশিকৃত আমানত জমা থাকে। তাই দেশের সব প্রান্ত থেকেই এই এটিএম থেকে টাকা তোলার সুবিধাটিকে আমরা ব্যাঙ্কিং প্রথার যুগান্তকারী সৃষ্টি বলেই মনে করি। বিশেষ করে আমাদের মতো বয়স্ক-বয়স্কা মানুষদের যাঁদের মাসের প্রথম দিকে ব্যাঙ্ক নিয়ে অত্যধিক ভিড়ের কারণে নানা হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হত। কিন্তু সম্প্রতি শিলিগুড়ি ও কোচবিহারে আমরা যে ভাবে এই এটিএম লুট ও জালিয়াতির খবরগুলো সাংবাদপত্র মাধ্যমে দেখতে পারছি তাতে আমার মতো অনেক এটিএম ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন উঠেছে যে, যে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্যই ব্যাঙ্কগুলো যে ভাবে প্রতি শহরের কোণায় কোণায় এই এটিএম চালুর ব্যবস্থা করেছেন সেখানে প্রহরাবিহীন এই এটিএমগুলোতে গ্রাহকদের পক্ষে সত্যিই কী নিরাপদ এবং তাদের অর্থ কি সুরক্ষিত? কারণ নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের দুষ্কৃতী-ছিনতাইবাজদের সংখ্যাও প্রতিটি শহরে যে ভাবে ক্রমবর্ধমান, তা নিয়ে আমরাও কিন্তু শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। এই এটিএম ব্যবহার করা নিয়েও শঙ্কা যাচ্ছে না। যদিও এ ব্যাঙ্কগুলো আজ এটিএমও টাকা ভরা ও রক্ষণাবেক্ষণ সবই বেসরকারি সংস্থার হাতেই তুলে দিয়েছেন কিন্তু এই বেসরকারি সংস্থার কোনও অসাধু কর্মচারীই যদি যোগসাজস করে এই এটিএম থেকে অর্থ লুটপাট করে গ্রাহকদের প্রতারিত করার চেষ্টা করে থাকেন তা হলে তার দায় কাদের উপর বর্তাবে? পুলিশ প্রশাসন নাকি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষগুলোর উপর?

প্রণীতা সেন, জলপাইগুড়ি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE