কালিয়াচকে গত সোমবার বিকালে ভোটকর্মীদের হেনস্থার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও অভিযুক্তদের এক জনকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ভোটকর্মীদের একাংশ তাতে শঙ্কিত। তবে জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘কিছুই হয়নি। গ্রেফতার করার মতো ঘটনাই ঘটেনি।” ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। যদিও জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদি বলেন, “পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।” ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
তৃণমূল অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছে কমিশনের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধেই। দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের এজেন্ট রামপ্রবেশ মণ্ডল জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে লিখিত ভাবে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, জেলার কয়েকটি ব্লকের বিডিও ও কমিশনের মডেল কোড অব কন্ডাক্ট (এমসিসি) রক্ষায় নিযুক্ত কিছু কর্মী বেছে বেছে তৃণমূলের পতাকা ও ফেস্টুন খুলছেন। তৃণমূলকর্মীরা প্রতিবাদ করলে কমিশনের লোকেরা তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। দলের জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “সরকারি জায়গায় লাগানো সিপিএম ও কংগ্রেসের পতাকা ও ফেস্টুন কমিশনের লোকেরা চোখেই দেখতে পারছেন না। অথচ ব্যক্তিগত জায়গায় লাগানো তৃণমূল পতাকা, ফেস্টুন কমিশনের লোকেরা ইচ্ছাকৃত ভাবে খুলছে।”
কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দীপ্তার্ক বসু অবশ্য জানিয়েছেন, সরকারি জায়গায় ও অনুমতি না দিয়ে ব্যক্তিগত জায়গায় দলীয় পতাকা লাগানোর খবর পেয়ে গত সোমবার বিকেলে ব্লকের এমসিসি-র দল কালিয়াচকের অলিনগরের বাম্বামোড়ে যায়। পতাকা ও ফেস্টুন খুলতে গেলে কিছু লোক এমসিসি-র অফিসার, কর্মীদের বাধা দিয়ে আটকে রেখেছিল। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। এমসিসি দলের ওসি অপ্রতিম বন্দোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের ফেস্টুন ও পতাকা খুলতে গেলে দলের কর্মী সমর্থকরা আমাদের হেনস্থা করেছে। আধঘণ্টা আটকে রেখে রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা শুয়েছিলেন। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।”
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মানিচকচকের খয়েরতলায় একই ঘটনা ঘটে। তিনশোর বেশি মোটরবাইক মিছিলের ছবি তুলতে গেলে এমসিসি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই-সহ তৃণমূলের সাত নেতার বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতারও করেছে। তবে তার পরে কালিয়াচকের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে।
অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের অভিযোগ, “ভিডিও ফুটেজ দেখার পরেও পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপাদিতে চাইছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy