Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

এ বার কিউই চাষে উৎসাহ দিচ্ছে জিটিএ

কমলালেবু, চা-য়ের পর এবার কিউই। দার্জিলিঙের পরিচিতি চিহ্ন হিসেবে সেই কিউই ফলকেই ছড়িয়ে দিতে চাইছে জিটিএ। দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকায় কিউই ফলের চাষ জনপ্রিয় করতে শুরু হয়েছে উদ্যোগ। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি এলাকাতে কিউই চাষও হয়েছে।

দার্জিলিং পাহাড়ে মাচায় কিউই চাষ। ছবি: রবিন রাই।

দার্জিলিং পাহাড়ে মাচায় কিউই চাষ। ছবি: রবিন রাই।

রেজা প্রধান
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৪২
Share: Save:

কমলালেবু, চা-য়ের পর এবার কিউই। দার্জিলিঙের পরিচিতি চিহ্ন হিসেবে সেই কিউই ফলকেই ছড়িয়ে দিতে চাইছে জিটিএ। দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকায় কিউই ফলের চাষ জনপ্রিয় করতে শুরু হয়েছে উদ্যোগ। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি এলাকাতে কিউই চাষও হয়েছে। তাতে বেশ ভালই ফল মিলেছে বলে জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছে। তাতেই আশাবাদী জিটিএ, দার্জিলিঙের তাংতা, লাভা, নোক দারা, বুড্ডাবেরি, রিমবিক এবং সুখিয়াপোখরিকেও কিউই চাষের মানচিত্রে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চিন দেশের এই ফল অনেকটা লেবুর মতো দেখতে। সবুজ এই ফল স্যালাড সহ নানা সব্জিতে ব্যবহার করা হয়। এমনিও খাওয়া যায় ফলটি। নিউজিল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া, গ্রিসেও বেশ জনপ্রিয়। দার্জিলিঙের নানা হোটেলেও বাইরে থেকে ফল আমদানি করা হয়। সম্প্রতি সিকিমে কিউই চাষের প্রসার হয়েছে। সেই পথই এবার অনুসরণ করতে চলেছে জিটিএ।

জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলক ভাবে মংপু এবং রঞ্জুভ্যালিতে কিউই চাষ শুরু করে। জিটিএ-এর উদ্যানপালন বিভাগের পরামর্শদাতা জ্ঞানচন্দ্র সুব্বা বলেন, “সিকিম কিউই ফলিয়ে সাফল্য পেয়েছে। সেখানেও সরকারি উদ্যোগে এই ফলের চাষ হয়। সে কারণেই সিঙ্কোনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরাও পরীক্ষা শুরু করেছিলাম। সে সময় অন্তত তিন হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল।”

পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কিউই চারা এবং পরামর্শ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ। মংপুতে না হলেও, রঞ্জু ভ্যালিতে চাষে সাফল্য পায় জিটিএ। সাধারণত সাড়ে ৪ হাজার ফুট উচ্চতায় এই চাষে সাফল্য মেলে বলে জানানো হয়েছে। তবে কিউই কেন?

জিটিএ-র দাবি এই চাষ যথেষ্ট অর্থকরী। ফলটির বাজারও বেশ বড় এবং চড়া। খুব সহজেই ফলন হয় বলে অনেকেই চাষে আগ্রহ দেখান। প্রতি একরে এই চাষে বছরে অন্তত এক লক্ষ টাকা আয় সম্ভব। আপাতত সিঙ্কোনা বাগানে ৫০০ পরিবারকে কিউই চাষে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ। সিঙ্কোনা চাষের দায়িত্বে থাকা জিটিএ-র সদস্য স্যামুয়েল গুরুঙ্গ বলেন, “পাহাড়ে এই ফল চাষের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বেকার যুবক যুবতীদেরও কিউই ফলের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা যাবে।”

গাছ লাগানোর পরে ফল হতে সাধারণত দু’ থেকে তিন বছর সময় লাগে। তবে একবার ফলন শুরু হয়ে গেলে তেমন খরচ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kiwi reja pradhan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE