কখনও কথা বলা শুরু করতেই কেটে যাচ্ছে ফোন। কখনও কয়েক সেকেন্ড কথা বলার আর কিছু শোনা যাচ্ছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর আবার কথা ফিরে আসছে। কখনও পরিসীমার মধ্যে থাকার পরেও ফোন ‘আউট অফ রিচ’ বলে জানানো হচ্ছে। দিনের পর দিন ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) ওই বেহাল পরিষেবায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কোচবিহার জেলার বাসিন্দারা।
কোচবিহার জেলা টেলিকম উপদেষ্টা কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন জেলার সাংসদ রেণুকা সিংহ। তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহে কমিটির বৈঠক রয়েছে। সে সময় আধিকারিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।” ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্য দিব্যেন্দু ভৌমিক। তিনি বলেন, “এভাবে দিনের পর দিন মোবাইল পরিষেবার এমন হাল থাকবে ভাবতে পারছি না। বার বার সংস্থার আধিকারিকদের অভিযোগ জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি। কেন এমন হচ্ছে তা নিয়ে তাঁরা কিছুই বলতে পারছেন না।” গ্রাহকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে সুযোগ করে দিতেই ছক কষে এমনটা করা হচ্ছে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছে, যদি বেসরকারি সংস্থা ঠিকঠাক পরিষেবা দিতে পারে তবে বিএসএনএল কেন দিতে পারবে না? তাঁরা উপদেষ্টা কমিটিকে আরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
শাসক দলের বিধায়ক তথা বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওই পরিষেবা ছেড়ে দিয়ে বেসরকারি পরিষেবা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু রবীন্দ্রনাথবাবুই নয়, জেলার অনেকেই বিএসএনএল পরিষেবা ছেড়ে দিচ্ছে বলে সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে। বিএসএনএলের কোচবিহার জেলা আধিকারিক দিলীপ কুমার রায় বলেন, “সারা ভারতে একই অবস্থা। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”
বিএসএনএল সূত্রের খবর, কোচবিহারে বিএসএনএলের মোবাইল ব্যবহার করেন প্রায় ৪২ হাজার মানুষ। ল্যান্ড লাইন সংযোগ রয়েছে ১৫ হাজারের মতো। এর বাইরে ‘ব্রড ব্যান্ড’ ব্যবহার করেন প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা। এই অবস্থায় গত প্রায় তিন মাস ধরে পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়ায় তাঁদের চরম অসুবিধেয় পড়তে হয়েছে। ইন্টারনেটের কাজ বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে করতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy