Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কলেজে লাঠিচার্জ, ভূতনিতে পাঠানো হল পুলিশকর্তাকে

কলেজে গোলমাল ঠেকাতে লাঠি চালানোর ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে মালদহ সদর মহকুমার ভূতনির চর এলাকায় একটি খুনের তদন্ত করতে পাঠানো হল। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে এ দিন সকালেই এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস সেখানে চলে যান। তাঁকে চাঁচলের এসডিপিও-র পদ থেকে সরানো হয়নি। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এটা আভ্যন্তরীণ বিষয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৪ ০২:১৭
Share: Save:

কলেজে গোলমাল ঠেকাতে লাঠি চালানোর ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে মালদহ সদর মহকুমার ভূতনির চর এলাকায় একটি খুনের তদন্ত করতে পাঠানো হল। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে এ দিন সকালেই এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস সেখানে চলে যান। তাঁকে চাঁচলের এসডিপিও-র পদ থেকে সরানো হয়নি। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এটা আভ্যন্তরীণ বিষয়। চাঁচলের এসডিপিওকে ভূতনি এলাকায় একটি খুনের ঘটনার তদন্তে পাঠানো হয়েছে।” এসডিপিও টেলিফোনে ভূতনিতে রয়েছেন জানালেও আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

রবিবার রাতে চাঁচল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের কর্মীদের উপরে লাঠি চালানোর ঘটনা ঘটে। চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে রবিবার পরিচালন সমিতির সদস্যদের ঘেরাও করে টিএমসিপি। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুবকে আটকে গালাগালি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সন্ধ্যায় ছাত্র পরিষদের কর্মীরা কলেজে হাজির হন। দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে গোলমাল বাঁধে। দফায় দফায় তাঁদের গন্ডগোল থামাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। নামাতে হয় র্যাফও। এর পরে পুলিশ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, বিধায়ক সহ পরিচালন সমিতি সদস্যদের প্রহরা দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজ। দুই সংগঠনই একে অন্যকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু করে বলে অভিযোগ। তাতে আহত হন চার পুলিশকর্মীও। তখন পুলিশ তাদের সরাতে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তাতে টিএমসিপি-র ৭ কর্মী সহ দুই ছাত্র পরিষদ কর্মীও আহত হন। পুলিশ অফিসারদের অনেকেই বলেছেন, রাতে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে ওই সময় পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় সমস্যা হতে পারত।

এ দিকে রবিবার রাতের ঘটনার পর এদিন দুপুরে একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে টিএমসিপি ও ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপির তরফে ১৪ জন ও ছাত্র পরিষদের তরফে টিএমসিপির ১০ জনের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের লাঠি চালানোর বিষয়টি নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতারও হননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

agitation at college police chachal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE