Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ মোর্চা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে গোর্খাল্যান্ডের দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের আর্জি জানাল মোর্চা।শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মোর্চার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলীয় সূত্রে খবর, বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন রোশন গিরি এবং অনিত থাপা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:১৩
Share: Save:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে গোর্খাল্যান্ডের দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের আর্জি জানাল মোর্চা।

শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মোর্চার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলীয় সূত্রে খবর, বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন রোশন গিরি এবং অনিত থাপা। পরে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আমরা জানিয়েছি মোর্চা পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে সচেষ্ট। তারা বিজেপি’র জোট সঙ্গী হিসাবে এনডিএ-এর শরিক। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে এই বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিল। জানানো হয়েছিল মোর্চার দীর্ঘ দিনের এই দাবির বিষয়ে তাঁরা যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’’

মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অনিত থাপা জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তারা জানিয়েছেন, জিটিএ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। অনিত থাপা বলেন, ‘‘জিটিএ চুক্তি একটা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আবেদন জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি কমিটি গঠন করে সহানুভূতির সঙ্গে গোর্খা এবং আদিবাদীদের ওই দাবির বিষয়টি দেখুক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটি গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’

এ দিন আলোচনায় অবিলম্বে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিষয়টিও তোলে মোর্চা। তাদের দাবি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকায় এবং সেখান থেকে পাঠ্যক্রমের যে সব পরিকল্পনা নেওয়া হয় তা পাহাড়ের প্রয়োজনের কথা ভেবে হয় না। রোশন গিরি বলেন, ‘‘পাহাড়ে তিন মাস শীতের ছুটি থাকায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলি পড়াশোনার সময়ের সঙ্গে খাপ খায় না। পাহাড়ের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে কোর্স বা প্রশিক্ষণ নেই বলে দক্ষ এবং শিক্ষিত লোক মেলে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা জানিয়েছি।’’

তিনি জানান, দার্জিলিং পাহাড় জীব বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে তা নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনার ব্যবস্থা নেই। পাহাড়ের সংস্কৃতি, প্রাচীন ভাষা নিয়েও পড়াশোনা হয় না। তাই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পাহাড়ে সৈনিক স্কুল তৈরির বিষয়েও তারা এ দিন আর্জি জানিয়েছেন। তফসিলি উপজাতি তালিকায় ভুজেল, গুরুঙ্গ, মঙ্গের, খাসদের মতো গোর্খাদের ১১ টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান। আগামী মার্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাহাড়ে আসার জন্য তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE