সোলি চন্দ্র সাংমা। —নিজস্ব চিত্র।
মেঘালয়ের জঙ্গি সংগঠন, গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (জিএনএলএ) সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে সন্দেহে এক ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করল মেঘালয় পুলিশ। শুক্রবার রাতে প্রধাননগর থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ির পঞ্চনই এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে। ধৃতের নাম সোলি চন্দ্র সাংমা (৩১)। বাড়ি মেঘালয়ের তুরাতে। দেড় মাস ধরে তিনি শিলিগুড়িতে থাকছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে মেঘালয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সোলি তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “মেঘালয়ের তুরাতে ধৃতের বিরুদ্ধে চলতি বছরের মে মাসে, দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়। তার পর থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল। শুক্রবার মেঘালয় পুলিশ আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে আমরা কর্মী পাঠিয়েছি। জানতে পেরেছি ধৃত জিএনএলএ নামে একটি সংগঠনের কমান্ডার ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে দলীয় কিছু কাগজপত্র, একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল, তিনটি সিমকার্ড, দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, দুটি প্যান কার্ড ও দুটি ভোটার আইকার্ড উদ্ধার হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি দেড় মাস ধরে শিলিগুড়ির থেকে জিএনএলএর প্রচার সচিব সাবিয়া-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বলে তাঁদের কাছে খবর রয়েছে। এদিন এজলাস থেকে আদালত লক-আপে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত সোলি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। আমি তুরার এক আইপিএস অফিসারের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় আমাকে ফাঁসিয়েছে পুলিশ।” তাঁর দাবি, “আমার সব কিছুই প্রকাশ্য। সোশ্যাল সাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমি জঙ্গি নই।” জিএনএলএ ভারত সরকারের নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর তালিকায় ১৩ নম্বরে রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতামূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে উত্তর পূর্বাঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে অন্য একজনের নাম রয়েছে। সে এবং ধৃত একই ব্যক্তি কি না তা পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তুরাতে একটি নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে বেশ কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে পারিবারিক কয়লার ব্যবসায় নামেন তিনি। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি ব্যবসাতেও কিছু অর্থ ঢেলেছিলেন। একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটে মন্তব্য করেছিলেন, “পাঁচ বছর ব্যবসায় মন দেব। না পারলে ফের কোনও বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি নেব বা আইএএস পরীক্ষায় বসব।” ওই সাইটে তাঁর নিজের সপরিবার ছবিও পোস্ট করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy