Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জমা নিকাশি ও জঞ্জালে দূষণ, বৃষ্টিতে ভাসার ভয়

কোথাও নর্দমায় আগাছা, কোথাও নর্দমায় জল থমকে। সন্ধ্যা হলে বাড়ছে হয়েছে মশার উপদ্রব। মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে দিনে মশারি টাঙাতে হচ্ছে। কোচবিহার পুরসভা এলাকায় নিকাশি নর্দমার বেহাল দশায় এমনই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ।

কোচবিহারের রাস্তায় জঞ্জালের স্তূপ।

কোচবিহারের রাস্তায় জঞ্জালের স্তূপ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০২
Share: Save:

কোথাও নর্দমায় আগাছা, কোথাও নর্দমায় জল থমকে। সন্ধ্যা হলে বাড়ছে হয়েছে মশার উপদ্রব। মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে দিনে মশারি টাঙাতে হচ্ছে। কোচবিহার পুরসভা এলাকায় নিকাশি নর্দমার বেহাল দশায় এমনই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ। এর উপরে কয়েক পশলা বৃষ্টি হলে শহরের বিভিন্ন এলাকা ফের জলাশয় তৈরি হবে বলে আশঙ্কা। পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, নিকাশি নর্দমা সাফ করার কাজ জোর কদমে চলছে। জল যাতে স্বাভাবিক ভাবে বড় নর্দমার মধ্য দিয়ে নদীতে পড়তে পারে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু বলেন, “পুরসভার সব ওয়ার্ডে নিকাশি নর্দমা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি নামার আগেই সব কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বড় নর্দমার কাজ চলছে। সেই নর্দমা দিয়ে শহরের জল নদীতে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্ষায় শহরের কোথাও জল জমবে না বলে আশা করছি।”

পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা দাবি করেছেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাইড্রেনগুলির অবস্থা খারাপ হওয়ায় জল বাইরে বেরোতে পারছে না। তিনি বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই শহর ভেসে যাবে, এমনই অবস্থা তৈরি হয়েছে। বহুবার হাইড্রেন সংস্কারের কাজ নিয়ে সরব হয়েছি, চেয়ারম্যানের কাছে আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। শহরের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়বেন। শহর জুড়ে নোংরা জল জমে থাকায় ও যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকায় শহরে সর্বত্র মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। দিনে মশা নিয়ে সমস্যায় নাগরিকরা।”

পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরে কয়েকটি এলাকা ছাড়া সর্বত্র পাকা নিকাশি রয়েছে। ভবানীগঞ্জ বাজার চত্বর এলাকা, সুনীতি রোড, বিশ্বসিংহ রোড, পুলিশ লাইনের মাঠের সামনের এলাকা, মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ পার্কের দুই পাশের রাস্তার বহু জায়গায় নিকাশি নালায় আগাছা ও আবর্জনা জমে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। পুলিশ লাইনের মাঠের সামনের রাস্তায় নর্দমায় নোংরা জল জমে রয়েছে বলেও অভিযোগ। ফলত ওই এলাকায় মশার উপদ্রব তুলনামুলক ভাবে বেশি বলে অভিযোগ। ১২, ১৩, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক এলাকায়, গলির ভেতরের নিকাশি বেহাল বলে অভিযোগ। শহরের ১২ ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, “বর্ষা নামার আগেই আমরা নিকাশি নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। বহু জায়গায় আবর্জনা জমে রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coochbihar waste
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE