ভেঙে গিয়েছে সেতু।—নিজস্ব চিত্র।
গত দুদিনের বৃষ্টিতে নগর বেরুবাড়ি এলাকার অবস্থা খারাপ। এলাকার সব কটি ছোট নদীতে জলস্ফীতি ঘটেছে। একটি সেতুর একটা অংশ উড়ে গেছে। ১০০ মিটার লম্বা একটা বাঁশের সাঁকোর একটা অংশ বসে গেছে। বিপাকে পড়েছেন দুটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।
নগর বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ডকাইচাঁদ নদীর সেতুটির সামনের অংশ জলের তোড়ে উড়ে গেছে। নগর বেরুবাড়ি পাঁচটি গ্রামের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ডকাইচাঁদ নদীর এক পাশে লালবাজারপাড়া অন্যদিকে অমরখানা, সিঙ্গিমারি, ডাঙাপাড়া, ধর্মদেবপাড়া এবং রর্মদেবপাড়ার বাসিন্দারা গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে সরাসরি না আসতে পেরে ঘুরপথে কোনপাকুড়ি হয়ে যাতায়াত করছেন। সোজাসুজি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে আসতে গেলে চার কিলোমিটার দূরত্ব পার হতে হত। কোনপাকুড়ি দিয়ে ঘুরে আসার ফলে দূরত্ব ডবল হয়েছে। অমরখানা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য গীতিকা রায় বলেন, “সেতুটির অবস্থা খারাপ সেকথা পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও সবাইকে জানানো হয়েছিল। তারা সময়মত পদক্ষেপ নিলে এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তী হত না। আমরা চাই সেতুটি অবিলম্বে তৈরি করা হোক।”
নগরবেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এবং খারিজা বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে গেছে যমুনা নদী। যমুনা নদীর ওপরে গ্রামপঞ্চায়েত থেকে এপাশে লক্ষীনগর এবং ওপারে সরকারপাড়ার মধ্যে ১০০ মিটার লম্বা একটা বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়েছিল। এই সাঁকোটি দিয়ে ভ্যান রিক্সায় করে নগর বেরুবাড়ির সমস্ত উৎপাদিত সব্জি এবং পাট ওপারে খারিজা বেরুবাড়ি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের মালকানি হয়ে হলদিবাড়িতে যায়। যমুনা নদীর জল বেড়ে যাওয়ার ফলে বাঁশের সাঁকোর একটা অংশ বসে গেছে। কৃষকদের মাল নিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাসিন্দারা প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন।
এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ অধিকারী, অমিয় রায় বলেন, “যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাকাতি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অবনি ভূষন রায় বলেন, “বিপজ্জনক পরিস্থিতির কথা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হয়েছে।” নগর বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রমিলা বর্মন বলেন, “ডকাইচাঁদ নদীর সেতু এবং বাঁশের সাঁকোটির কথা সদর ব্লকের বিডিওর কাছে জানানো হয়েছে।” জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও শ্রদ্ধা সুব্বা বলেন, “দুটি সেতু সংস্কার করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy