Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জিআরপির দখলে প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার-শেড নেই স্টেশনে

পানীয় জলের ট্যাপকল রয়েছে। কিন্তু তাতে জল পড়ে না। মহিলাদের জন্য প্রতীক্ষালয় থাকলেও তা তালা বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে ওই প্রতীক্ষালয়ের তালা খুলে রেল পুলিশকে ঢুকতে ও বেরোতে দেখা যায়। শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে।

বন্ধ প্রতীক্ষালয়টি মাঝে মধ্যে ব্যবহার করে রেল পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।

বন্ধ প্রতীক্ষালয়টি মাঝে মধ্যে ব্যবহার করে রেল পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৮
Share: Save:

পানীয় জলের ট্যাপকল রয়েছে। কিন্তু তাতে জল পড়ে না। মহিলাদের জন্য প্রতীক্ষালয় থাকলেও তা তালা বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে ওই প্রতীক্ষালয়ের তালা খুলে রেল পুলিশকে ঢুকতে ও বেরোতে দেখা যায়। শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। স্টেশনে ঢুকতেও হোঁচট খেতে হবে যাত্রীদের। কেননা ঢোকার মুখে শাক-সব্জি থেকে ফলমূলের পসরা নিয়ে বসে দোকানিরা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনের যাত্রী পরিষেবার বেহাল ছবিটা এখানেই শেষ নয়। বিস্তর অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের শেড নিয়েও। আপ ও ডাউন মিলিয়ে স্টেশনে প্রতিদিন ২৬টি ট্রেন দাঁড়ায়। কিন্তু এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেডের তলায় বড়জোর ট্রেনের দুটি কোচ দাঁড়াতে পারে। আর দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের নামমাত্র শেডের তলায় একটি কোচও ঠিক ভাবে আঁটে না।

ফলে ট্রেন ধরার জন্য চড়া রোদ-বৃষ্টি থেকে শীতের শিশির মাথায় করে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা বলতে গেলে উল্টে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। স্টেশনের বেহাল দশায় যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুরের ফব বিধায়ক তজমূল হোসেনও।

বিধায়ক বলেন, যাত্রীরা টিকিট কেটে যাতায়াত করেন। সমস্যার কথা বলতে গিয়ে স্টেশন ম্যানেজার তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে আমিও শুনেছি। সমস্যার বিষয়টি রেল ও স্টেশন কতৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও ফল হয়নি। এবার ভাবছি আন্দোলনে নামব।উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিআরএম অরুণকুমার শর্মা বলেন, “যাত্রীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন সেদিকে সবসময়েই নজর রাখা হয়। ওখানে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে কী সমস্যা, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনের ভিতরেই ঢোকার মুখে মেঝেতে চট পেতে বসে রেলকর্মীদের একাংশের মদতে সব্জি ও ফলের দোকান চলছে। স্টেশনে ঢুকেও রেহাই নেই। ছোট শেডের তলায় হাতেগোনা কিছু যাত্রীর জায়গা হয়। বসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর আপ লাইনে কাটিহার, নিউ জলপাইগুড়ি বা গুয়াহাটিগামী ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীদেরও নাজেহাল হতে হয়। আপ লাইনে দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে যে শেড রয়েছে, তা ছেলেভোলানো ছাড়া কিছু নয়। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে মহিলাদের পৃথক প্রতীক্ষালয় থাকলেও তা খোলে না। প্ল্যাটফর্মের অধিকাংশটাই শেডহীন থাকায় আলো নেই। ফলে রাতের যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় বলেও অভিযোগ।

যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে হরিশ্চন্দ্রপুরের স্টেশন ম্যানেজার আনন্দ কেরকেট্টা বলেন, যাত্রীদের একাংশের জন্যই শৌচাগার বেহাল ও জলের ট্যাপকল খারাপ হচ্ছে। আর মহিলা যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি জিআরপি ব্যবহার করায় সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

grp toilet shed harischandrapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE